তোমার আগমনে স্নায়ুবৃষ্টি খেলেছিল সারা দেহে।
সেই জলে ধুয়ে দিয়েছিল চোখ-মুখ-স্তন,
সেই থেকে দেহের জ্যামিতি চিনেছিল মন,
জোছনারা খুলেছিল জানালা সোহাগের মোহে।


হেমন্তের আকাশ জানে পৌষের কুয়াশার কথা।
মলিন অন্ধকারে কার্তিকের সূর্য দেয় ডুব,
একদা তোমার আমার প্রেম জমেছিল খুব,
চায়ের কাপেতে নিয়ে বসন্তের আবেগের উষ্ণতা।


রক্তাক্ত লাল টুকু রেখে গিয়েছে হৃদয়ের গহ্বরে।
নীল ছুঁয়ে দিয়ে চলে গেছে সে তার আকাশে,
বিচ্ছেদের শহরে নিঃসঙ্গ সখ্যতার আবাসে,
মায়াবী স্মৃতির স্থিরচিত্র আসেনি কোনো খবরে।


শিশিরের ক্রন্দন ঝরে পড়ে নীরব শব্দের মতন।
তাই ঘাস-নদী-জল সবকিছু একা রেখে,
স্বপ্নগুলো হেঁটে গেছে নিরীহ হৃদয় থেকে,
ভালো-না-বাসার দাবীতে কাছে এসেছিল মরন।