কেমন আছ তুমি ভিতরে বাহিরে?
জানি, ভিতরে মহাপ্লাবন বয়ে গেলেও,
দিব্যি সুখের ভান করো বাহিরে,
হাসির ফোয়ারা ঠোঁটে, বুকে আগুন রেখেও।


রাতশেষে দেখাও চোখে মুখে কি প্রশান্তি!
অথচ নির্ঘুম রাত কাটাও এপাশ ওপাশ।
এতো এতো ভার কাঁধে, এতো এতো ক্রান্তি,
তবু কি নির্মোহ অভিব্যাক্তিহীন দীর্ঘশ্বাস!


চোখের জল যদি হৃদপিণ্ডের রক্ত ধুয়ে দিত,
আলোকিত করতো বুকের ভিতরের আঁধার।
যদি কোনো পথ্যে সারতো হৃদপিণ্ডের ক্ষত,
সময়ের গ্লানিগুলো সব ভাসিয়ে নির্বিকার।


ভাবছো কেনো হেরেছো বাজীর খেলায়?
ভিতরে আগুন বাহিরে ফাগুন ফাগুন খেলা,
বাঁচার সম্বলটাও ফেলে পালাবে কোথায়?
যেটুকু বাঁচতে নিজেকে নিয়ে বাঁচো, এইবেলা।


নিজের জন্য করো আয়োজন, ফিরে আসা,
জানি,অনেক অনেক কিছুই ফেরত আসে না,
হারানো দিন, হারানো সুখ, মিছে ভালোবাসা।
স্কুলের সেই সুন্দর মুখটি, এখন আর যা ভাবায় না।


থার্মোমিটারে যদি মাপা যেত সব কষ্ট,
গজ ফিতায় বুঝা যেত কতটা ডুবেছো গভীরে,
বুঝতে নষ্ট মানুষের প্রেমে কতটা জীবন হয়েছে পিষ্ট,
ক্ষয়ে ক্ষয়ে শৈশবের হাসিমুখ গিয়েছে কতটা দূরে।


জানিনা কি কারনে ভিজে ডাগর চোখের কাজল,
তোমার কান্নার মায়ায় বাঁধা পড়ে গেছি অবিরাম।
না-ইবা এলাম কাছে, শুধু মুছতে দিও চোখের জল,
শুধু দুঃখের দিনে ডেকো, না-ইবা তোমায় পেলাম।


কাঁদো বন্ধু কাঁদো, কেঁদে কেঁদে বের হোক,
উচ্ছন্নে যাওয়া নষ্ট ভালোবাসার উচ্ছিষ্ট বিষ।
বারবার হারবে কেন, একবারইতো মরার শোক,
তাই হারার আগে আরেকটিবার ভালোবাসিস।


হোক বাধার দেয়াল ভাঙা, হোক উচ্ছ্বাস,
জেনো, কেউ একজন তোমার প্রতিক্ষায়,
পথের শেষে বয়ে নিতে তোমার উষ্ণ নিশ্বাস,
লাল গোলাপ হাতে দাঁড়িয়ে, পালতোলা নৌকায়।