একদিন কাক ডাকা ভোরে বেরিয়ে হন্তদন্ত হয়ে খুজে পেলাম নিজের কঙ্কাল!
কঙ্কালটাও হাড্ডিসার; প্রেমে পরে অস্তাচলে গেলে নাকি মৃত হাড় এমন হয়!
তুমি জানো সখি? কত গভীরে এর সন্ধান মিলে।
এই হাড় গুড়ো হয়ে পাউডারের মত ধূলো হয়ে উড়ে বেড়ায় বেপরোয়া প্রেতাত্মা।
আমি আর ব্যাশকম কিসে! পূণজন্মের আকাঙ্খা নেই, প্রতারক আর প্রতারনায় আশ্রয় কি যে;ঝুলি ঘাড়ে করে হেঁটে বেড়ায় প্রান্তর,
দু'পাশের সীমানায় অসংখ্য পঁচা লাশ, এসব জীবন্ত কালের খেয়ায় পঁচাই ছিল;
অনন্তকাল গন্ধ ঢাকা পরে ছিল মুখ ও মুখোশের বিমূর্ততায়।
সখী, যাই যাই বলে ডাইনোসরদের বিলুপ্তি, আজ প্রেম,প্রেমিক এবং প্রেমিকার গুরুচণ্ডালী দোষে  মানবসভ্যতার বিবর্তন হয়ে বানর হয়ে যাক!
তুমি চাও? তবে বলে দাও, সকাল হলে একটা প্রজ্ঞাপন জারি করি।
এই দেহে নিখোঁজ প্রান, অব্যক্ত কথাগুলি চামড়ায় মুড়িয়ে ফেলে দিয়েছে নাড়িভুড়ির আদলে,
এখানে দখলদারত্বের খেলা চলে, সব শকুন!
ঘোড়দৌড়ের হেলাখেলায় কাকে যেন বাঁচিয়ে দিয়ে নিথর রয়ে গেলাম।
এরপর, আমি তবু আমাকে খুঁজে পাই নি, পচন দেহে ছোপ ছোপ জমাট রক্তের প্রবাহ, এ কি! এ কি!! প্রিয়;
তোমার ছোবলে কত বিষ? ক্ষয়ে গেছে আমারও মুখোশ আর বাকিটুকু একগাট্টি হাড়!
এখানের সুরঙ্গে দুটো মন বড় হয়েছে, হুড়মুড় করে ঢুকে যাওয়া প্রেম বিলাস।
সে এক আক্ষেপের ঝোলাগুড়!




বেনাপোল এক্সপ্রেস
সিরাজগঞ্জ
৭/১/২২
৩ঃ১৭ এ,এম।