আমি একটা রাতের কথা বলছি!
যেখানে স্তব্ধ হয়েছিল- বাঙলার ঘুম,সূর্যের ছড়িয়ে যাওয়া মুক্তোর মতন রশ্মির সকাল, রাতের দূরত্ব চাঁদতাঁরা,
স্বপ্ন আর আগমনী বাস্তবতার।
একটা কণ্ঠস্বর, চলমান অববাহিকার জল, একটা বর্গকিলোমিটার পতাকা!!!


জেগে ওঠা চরের প্রকৃতির রূপ একটা মুষ্টি হাত!


ঘুম!
আচমকা শক্ত চোখের পাপড়ি;পাতা খুলে দেখেনি তোমায়,
সে ফেরেনি বাঙলার নাওয়ে টেকনাফ হয়ে তেতুলিয়ায়।


সূর্য!
এই ভূখণ্ডে আলোর মিছিলে মার্চপাস্ট করতে গিয়ে অন্ধকারে বন্দি হয়েছে সকাল,
অধিকন্তু আহ্নিকগতি থেমে ছিল এই বাঙলার মৃতদেহে, মহাবর্ষ অকাল।


চাঁদ!
শেষ হাসিটা গোলাকৃতি হয়েছিল এই মানচিত্র আসমানে, তাঁরাদের ছুটি হয়ে রাতটা ঢেকে গেল অমাবশ্যার বানে।


স্বপ্ন!
ধুমকেতুর আছড়ে পরা খণ্ডাংশে কবর রচিত, চারাগাছটা বর্ধিত সভাকেন্দ্রে শেকড় উপড়ে রয়,
ভূগোল ম্যাপে এই হাতের ছাপ তবু এই মৃত্তিকা মূল্যবোধের বিবর্ণ ক্ষয়।


কন্ঠস্বর!
ষোলকোটি মনুষ্য গর্জন একত্র সম্মেলন আজ ডিসমিসাল
ভূকম্পন সেথায় লেগেছিল সেইদিন ভীষণ রাতটা ভয়াল।


জল!
এই গতিপথ স্রোতধারায় তুমি; পদ্মা, মেঘনা আর যমুনায়
মরণোত্তর জীবন বহ্নি,সে রয়ে গেছে আজন্ম ঠিকানায়।


পতাকা!
একটা চৌকাঠ,তার সবুজের বুকে একফালি রক্ত লাল
তোমরা বন্ধু, তুমি বাঙালি পিতা হয়ে রয়ে গেছো অম্লান।


আমি সেই রাতের কথা বলছি!
শত্রু আক্রোশে মূর্ছা গেল জীবন্ত একটা বাঙলার বীজ, সবুজের আড়ালে সেই রক্তের লাল প্রবাহ,
হিমালয় আড়ালে দূর আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র।
এই মৃত্তিকা, এই মাটি, এই বঙ্গের একটা বন্ধু, সে ধরাশয়ী হয়ে মৃত ছকে আঁকা!!!


গা শিউরে ওঠা নিস্তব্ধতায় বিদীর্ণ ভয়াল রাত।



নিরিবিলি, নবীনগর
৯/৮/২৩