কোথাও কাঁদা,কোথাও মাটি,বাহিরে বালুচর
তার ওপারে উদ্ভাসিত,আমার বাড়িঘর।
ঘোলাজলে মাছ,করেছে খেলা
পূর্ণিমা রাত,জোনাকির মেলা
নদীর পাড়ে,লুটোপুটি খেলা
পথ প্রান্তরে,শস্যের দোলা
উপরে পরিপাটি,ভিতরে খোলা
সহে না দিশা,কই পাবো ভেলা
                             আমি যে আত্মভোলা।


ঝিরিঝিরে ঐ,বর্ষার রূপ
থই থই মাঠ, মাখামাখি খুব
কৃষাণের হাল,ভোরবেলা পূব
বৈঠার তাল,গর্জন ঝুপ
লুটোপুটি কাঁদা, ঘনজল মেলা
কোথায় বাস,আরাধনার খেলা
সময়ে হুশিয়ার, করোনাকো হেলা
আকাশের যেন,আজ দরজাটা খোলা
                                আমি যে আত্মভোলা।


ভরা ফুলে ফলে,গাছ পাখি জলে
কোকিলের সুর,অজানা কথা বলে
কলসিকাখে,ধীরপায়ে কোন গৃহবধূ চলে
পাঠশালে শিশু,মাঠ মারিয়ে যায় দলে দলে
ফসলের স্বাধ, মুখে মুখে তোলা
বিলে ঝিলে যত,কলাগাছ ভেলা
মাঠে ঘাটে কলাই,মুসুরি আর ছোলা
বলতে কি পারো,এটা কার খেলা
                                আমি যে আত্মভোলা।


জীবন চলে,প্রতিমার ছলে
নীরবে পাপি,কত কথা বলে
হারিয়ে গিয়েছে,সোনার মালতী
মানসিক কোনে, কে সেই আরতী
এত যে প্রেম,বলা দুষ্কর রূপ
মাটি,মা,গাঁ, ভালোবাসি যে খুব
গভীর অরণ্যে, সত্য প্রেমের ঝুপ
প্রকৃতি খেলা,যেথায় নিভৃতে চুপ
                            আমি যে আত্মভোলা খুব।





নিটার ক্লাসরুম
৯-৯-২০১৩