প্রণয়ের পৃষ্ঠা উল্টিয়ে দেখেছি তাতে আমার নাম নেই,
কত হৃদয়ের দরজায় কড়া নেড়েছি তাতে প্রবেশাধিকার নেই,
আমি যে কোন পথের পথিক তার গম্য জানি না,
যে পথ হারিয়ে গেছে তা খুজতেও চাই না।
আকাশের মেঘ,নদীর স্রোত কি নির্দিষ্ট পথ খুঁজে বেড়ায়?
পা দু'টো ফুলে উঠেছে,চোখ অশ্রুশূন্য হয়ে গেছে
বুঝেছি,আঁকাবাকা এ পথ আমার জন্য নয়।
কেন আমার গন্তব্যের অবগাত হলো?
সে কি ভোজবিদ্যা জানিনে বলে!
আমার এ পথ তো ছিলো নিরম্বু,নিরবদ্য।
শপ্ত করবো না যদিও কিন্তু কালক্ষেপণে বুঝে গেছি এ পথে আমার জন্য কোন শম নেই,
রন্ধ্রে রন্ধ্রে শব্দিত হওয়া এ উপালম্ভ,অবক্ষেপ কি কবির জন্য,হেটে যাওয়া অবিনশ্বর পথে তো ইশ্বরের ইঙ্গিত ছিলো,
তবে ভুল হবে কেন?
যদা হাটতে শুরু করেছি সবাই সাদরে গ্রহণ করেছে।
আসলে তাদের দরকার ছিলো উপায়ন, কিন্তু এ উপাস্থি তো কখনো কেউ উপঢৌকন হিসেবে নেয় নি!
এ গহীনের শব্দ নিঃশব্দে বেরিয়েছে,যমস্বসায় ভেসে চলেছি স্রোতের প্রতিকূলে,
কেউ হাত বাড়ায় নি,একা কি তীর পাওয়া যায়!
পথ হারানো কবিতারা,কবি অনূকূলেই চলছি।
এও এক বিড়ম্বনা! আমার পথে যবনিকা টানা কেন?
আমি শতায়ুঃ না;পরিশ্রান্ত,কুন্জুক হয়ে হাহাকার নোটিশ লাগিয়ে দিয়েছি নিজের ভেতরটায়,
আমি সুশর্মা হতে পারিনি কখনো,যাহা যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে ধৃষ্টতার জন্ম দিতে পারতো,
এই গুমোট পরিক্রমা পুরোটাই ছিল সুক্ষ্মকোণে ঘুর্নায়মান, সরলকোণ হবে কি করে!
যে পথ নিজের ডাঙা মনে করে হেঁটেছি ওখানে ভাঙনের বর্শার মুহুর্মুহু আঘাত,যতটুকু টিকে আছে এ চরের!
তুমি সেই অদৃশ্যের পথিক বনে যাবে না কখনো।
চৈতন্য ফিরে পাওয়া অবধি ভাবছি,আকাশপানে দিনে কেন তারকার উদয় হয় না,
স্বার্থপরতা শুধু কি পৃথিবীর মায়া কটূ?
ভাবছি গতানুশোচনা ছেড়ে দিবো,তবু একটা আত্মচিৎকার আধো-অন্ধকারে হাপিত্যেশ ছুটোয়।
কোন কালে,শতাব্দীতে কবিতা কি'বা কবির মায়ায় কারো অশ্রু ঝরেনি,
এও এক অদ্ভুত কান্ড ঘটে গেল পাদদেশ প্রান্তে,মরুভূমি ছাড়াও,নদীর ভাঙনে আমি মরিচিকা দেখেছি এতদা,
কবিদের বোকামি দণ্ডে মাপা যায় না!
যে ডালেই আমি উর্ধ্ববাহু বাড়াই না কেন,ইহা আমার বংশবদ নয়; তা শুষ্ক,শূন্যগর্ভ।
কবির মনে কোন ক্লেশ নেই, বুঝে গেছি এ পথ আমার জন্য নয়,
আমি এখন আনৃণ্যকামী।




নিরিবিলি, নবীনগর
২০-৫-২০২০
শুকুরসী,ঢাকা
২৩-১১-২০১০