এক দীপ্তিমান যুবক খোলা বেলকনির এক কোনে বসে আছে, আনমনে, উদাস।
এমন তেড়েফুঁড়ে বৃষ্টি হলে আগে তৃপ্তি নিয়ে মন ভেজাতো
আর আজ গুটিশুটি হয়ে আকাশের কান্না দেখে।
আসলেই দৃষ্টিভ্রম হয়, প্রেমিক না হলে এসব সৃষ্টি করা যায় না।
সবচে সুন্দর আসমানের যে কান্না হয় এতদা তা উপলব্ধি ছিল না,
আসমানী-রা কি খবর রাখে?


চুপচাপ সুনশানতার মাঝে কষ্ট গান করে, একাকীত্বে এই সুর মজ্জাগত হয়,
নিউরনগুলো সামান্য সময়ের জন্য হলেও জেগে ঔঠে কিন্ত আজকাল বাস্তবতা এমন যে ওরাও চাপা পরে যায় প্রেয়সীর ছলনায়।
হুতুম পেঁচার মত এরা, লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে কাপন ধরিয়ে দেয় প্রেমিকের।


কষ্ট করে জালের পুরোটা কারুকার্য এমনভাবে গড়ে উঠানো যে,সাগরে নামার বাকি;
পুরনো ডিঙিটা অনেক জোড়াতালির পর আজ উপযুক্ত!
কিন্ত ডিঙি আজ কারিগরকে চেনেই না।
ডিঙি তো সাগর পার হয়ে মহাসাগরে!
কারিগরি কি আরেকটা নতুন ডিঙি গড়বে?


গঞ্জের চ্যারাগবাতিতে এই প্রেমের কালজয়ী জন্ম হয় নি,
শহুরে নিয়ন বাতিতে হাত ধরে শুষ্ক সুখের আস্ফালন ছিল কিন্তু বাতি ম্রিয়মাণ হয়ে এসেছে আজ,
সটকে পড়েছে প্রেমিকার দল।
পুরনো চিঠির ঘ্রাণ নাকে নেয়নি বলে সখী হয়ে ওঠে নি,
যন্ত্রটার ডাকবাক্সে যে ক্ষুদেবার্তাগুলো ছিল ওদের জায়গা হয়েছে ডাষ্টবিনে।
নতুন বাতিতে নিজেকে খুব সুখী আর অপরিচিত লাগছে প্রেমিকার!


বিগতগুলো নতুন করে জন্ম দিলেই তো বহুত স্বর্গীয় বর্তমানে ফিরে যাবে,
বর্তমান থেকেই তো আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখে নিয়েছ; না, এটাকে হাস্যকর বলা যায় না।
বোকা মেয়েটি আজ চালাক হয়ে উঠেছে, মহাসাগরীয় নায়িকা হয়েছে,
না, আর কিছু ভাবার অবকাশ নেই।
কিন্তু গোবেচারা প্রেমিক ভাবছে, মহাসাগরে কি ভাটা নামে?


এই গল্পকবিতা এক প্রেমিক কবির।
হ্যা,আমি আমার কথা বলছি, এক প্রেমিকের কাব্যকথা।


নিরিবিলি, নবীনগর
১১-৪-২০২০