তাম্র ঝর্ণা দেখেছো বিশ্ব? গলিয়ে সুখ তৈরি হয়;
পিতলের থালাবাসনই আমার ছিলো তোমার মাখানো হাতে!
একটা চাঁদের আশেপাশে গা কাটা দেয়া মূহুর্ত কাটিয়েছি আমি কৃষ্ণ!
সব অতিরিক্ত সুখের পরিতোষ গোলাপ কাটা।
এ মনে ঝড়েছিল কৃষ্ণচুড়ার পাপড়ি,গোলাপ বিছানো ছিল আমার বিছানায়, এক ক্ষেত সূর্যমুখী ফুটেছে এই সময়ে,
সবাই তোমার সৌন্দর্যের তারিফ করে।
একটা রিকশা সেদিন আমাদের দৈব বাহন ছিলো, আমি তোমার কাপড়ের পাড় ধরে হেটে গেছি লবনাক্ত সাগরে!
রাজাদের মমির পাশে তোমাকে ভীষণ ভয়ার্ত লাগছিলো,কি মায়া শুকনো চেহেরায়।
আমি এত ভালো ছিলাম যে তুমি বললে লাফ দিতাম আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে,
তোমার মাঝে আবহাওয়া আমার নাতিশীতোষ্ণ ছিলো,ঘুমিয়েছি শান্তিতে কতকাল।
হাত ধরে দু'জন হেঁটে গিয়েছি সংসদ ভবন হতে নিউমার্কেট, টি,এস,সি কিবা বটতলা!
এই হাত তুমি ছাড়োনি বেপরোয়া গাড়ির হর্ণে অথবা সংকুচিত রাস্তায়,
ঈদের চাঁদ যে উঠেছিল স্পন্দনমুখর আকাশে তাহা নামেনি  পঞ্চবাণে।
কত ক্লেস সয়ে আমি যেতাম ধূলোমাখা শার্টে তোামর পদপৃষ্ঠে আর তুমি ঘুমন্ত চোখে কতবার এসেছ ছোট্ট কুটিরে,
সময় ব্যবহার্য ধন,রাগঢাক চিবিয়ে নিয়েছিলাম পদ্মাগুরুজ লতার মতন।
এপাড়ে সুখের হাটের ইজারা নিয়েছিলাম এতকাল,চৌবাচ্চায় ফুরিয়েছে তা জলীয়বাষ্পের ধোয়ায়,
হাওয়ায় মিলিয়ে তাহা দুষ্কর ওপাড়ে!
আমার বুকের লোম দূর্বার মত জেগে ওঠে তোমার পরশ পেলে, আমার অস্তিত্ব ঝাকুনি খায় কলিজায়,
পৃথিবী কাপে সুন্দর আয়োজনে।
আমার হেটে যাওয়া পথ প্রসস্ত হয়ে যেত তুমিময় নাগাল পেলে,
আমি উৎকৃষ্ট জোছনায় ভিজি,সুখচক্ষু খুলে তোমায় দেখি পাপড়ীর আগায়,
বাঁশরী বীন বাজে মনের শ্বাশত পরশে।
জোনাই জ্বলে কাঁচা হাতের মুঠোয়,লুকিয়ে দেখি
এখন সে তুমি কই!
জ্যৌৎস্নী রাত্রি তোমায় ডাকে বিলের পাড়ে, এখানের সুখ বাড়িটায় তোমার বউ হওয়ার কথা!
পাজর যে খুলে রেখেছি এ অববাহিকায়।
মানষিক আনচান থেমে যাওয়া সুখলক্ষী আমার পেঁচিয়ে কেন আছো হেডফোনের তারের মতন?
প্রথম দিনের মত আমার ভাজে ভাজে লুকিয়ে যাও ভালোবাসা হয়ে!
এই সুখপ্রকল্পটা বাস্তবায়ন হোক,দুঃসময়ে এত বড় বাজেটে মন পোষাবে না?






নিরিবিলি, নবীনগর
৩০/৭/২০২০