বহুদিন বৃষ্টিতে ইঁদুরটা লুকিয়ে ছিলো জলের তলে!
বেঁচে আছে প্রিয় তাহার নিঃশ্বাসে,বিশ্বাসে।
এই শীতলতা গা বেয়ে নেমে গেছে হৃদয় নদীতে,হাঙর তাহার দাঁতে চিবিয়ে ফেলেছিল এ যুগল।
তাহারা জানতো এ গন্তব্যে কোন বাঁধ প্রতিবন্ধক বাটখারায় উঠবে না, চলমান মুহূর্ত মনবন্দী হতে থাকলো কেশের গোছে।
প্রথম তোমার শাড়ী পড়ার স্বাধ,আমার তীব্র অনুরাগ,নিজ হাতে মোর রূপায়ণ করা কু'চি,তোমার কোমড় ছোয়া আমার এ অসতর্ক আঙুল!
লাজুকতা ছুয়ে যাওয়া হৃদয়কাড়া হাসি,তোমার প্রথম সন্ধ্যাে কাজল রুখতে,
ঘর্মাক্ত পাঞ্জাবির হাহাকার মনে আছে?
সেদিনের সেই পহেলা বৈশাখ, বটতলা মাড়িয়ে টিএসসির প্রান্তর আর উদ্যানের বাক,
হুরহুর চিৎকারে আচমকা জড়িয়ে ধরে খাবি খাওয়া মনের শ্বাশত পরশে,তুমি বলেছিলে, আহা!
এক জীবনে তোমার বিকল্প হয়?!
আমার সময়গুলি আটকে গিয়েছিল কাঁথার নিচের কাঁচুমাচুতে,
একটা ঘড়ি দেয়া হলো সময়কে চোখে চোখে রাখতে,বাক্সবন্দি জবান থাকবে ঘড়ির কাটার মতন ঘূর্ণায়মান, কত কথার ঝড় তোলা হয়েছিল যে নেটওয়ার্ক সিগন্যাল দিতো নিভু প্রদীপের!
আমার ঘড়িটা স্পর্শ বাড়িয়ে দিয়েছিল কয়েকটা নতুন সময়ের।
সেই সময়ের ঘনঘটা ছিলো উজ্জ্বল আলোর,
তোমার পা ছুঁয়ে দিলো কোমল হাত,পায়েলের আগলে থাকায় পূজোর খুশি ছিলো তোমার ঠোঁটে,
আমি বারংবার ঐ হাসিতে বিক্রি হয়ে যেতে চাই।
এসব দীক্ষিত ভালোবাসা নখদর্পনে এগিয়েছে বহুদূর, তোমার পাঞ্জাবীগুলো সাজানো আছে নিরেট বাস্তবতায়,
এরা কাঁদে মোনাজাতে।
যে প্রেম ছুঁয়ে আছে আকাশের অলিগলির মেঘ, ওরা গ্রীষ্মকাল ধরে রাখতে চেয়েছিল,
আমি মেঘকে নোঙর করিয়েছিলাম প্রিয়তমার জন্য।
প্রেম ছিলো নিরলস পরিশ্রমি,পিপীলিকার মত জমিয়েছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র করে রাজ্য,আজ তার প্রতিদান চায় প্রজাপ্রেমিক;
চেচিয়ে উঠেছে কণ্ঠ,শিঙার ফু'এর থেকে বেশ চড়া!
তুমি শুনছো মায়াবতী?
এবেলা শক্তি ফুরিয়ে যাক, ক্লান্ত হয়ে না মরুক প্রেম,
দৈষিকদর্শী আমি তাই মেজবানে মিলিয়ে যেয়ে অকপটে ডুকে গেলাম ভুতুড়ে রাস্তায়!
এটাই নাকি প্রেম,সব ভুত জয় করে প্রিয়তমাকে নামিয়ে আনতে হবে তেতুল গাছের জমানো রস থেকে!






স্টারলিং লন্ড্রি লিমিটেড
২৭/৭/২০২০