একটা সকালকে ভিজিয়ে রেখেছি কুয়াশায়!
হাই তুলতে তুলতে দেখি ঘুটঘুটো অন্ধকারে ছেয়ে আছে চোখের দৃষ্টি।
আদতে একরাশ জলকণা ধোয়া হয়ে মিশে আছে দরজায়,একদম ধবধবে সাদায় মৃত মন পরে আছে পাহাড়ের ঢেউ খেলা গায়ে।
আমি পা বাড়িয়েছি বহুদূর।
কত পথ সাক্ষী এই যুদ্ধে, কত পথ তৈরি হয়েছে নতুন করে তোমার পা দেখবে বলে,
মনে পরে ষোড়শী কন্যা? দু'হাতে ধরে হেঁটে গিয়েছি কতটা সময়,
নিয়ন বাতির আলোয় তুমি নতুন প্রতিমা রূপে চেয়ে রইতে আমার পানে,আমি ল্যাম্পপোস্ট হয়ে দাড়িয়ে যেতাম অনায়াসেই।
তিতির পাখির মত টুকটুক করে চলমান সভ্যতা এগিয়ে নিয়ে গেছি হাতের কবজি পাঁজাকোল করে,
প্রথম স্পর্শের পর থেকে ধূলোমাখা শহরে মিলিয়ে যাওয়া ক্ষন অবধি।
মাতম তুলে আছে সেই হাঁকডাক, ক্লান্ত হয়ে একটা স্তব্দতা ছেয়ে গেছে পাশবিকতা চালিয়ে বুকে,
ধনুকে জুড়ে দেয়া বিষ ছড়িয়ে গেছে সেই নিয়ন আলোয়, কেউ এসে দাড়ায় না আর,কেউ অপেক্ষা করে না শেষ বিকেলের!
বহু আক্ষেপের মৃদু ঝগড়ায় ফোনটাও বিরক্ত হয়ে বলতো তোমরা ভালো থাকো,আমি তোমাদের উষ্ণতার উদগ্রীব।
ঈদের রহস্য অনুধাবনই করিনি কখনো, আমার চাঁদ হয়ে ছিলো তোমার হাসি আর ঈদ তো তোমায় নিয়ে চক্করে পরে থাকা বাজারের উষ্ণ দর!
একটা ঈদ যে একা হয়ে গেছে,মানবী কি বলবে তুমি নিজেকে?
প্রশ্ন করো,উত্তর মিলাও।
আমার থোকায় থোকায় আঙুরের ফল নেই বাতিঘরে,শিয়াল চালাক হয়েও ওষ্ঠ উঠিয়ে ধরলো হুক্কা হুয়ায়!
কারন আঙুরফল টক হয়ে গেছে।
পৃথিবীর বুকে শকুন সব উধাও হয়ে গেছে,উচিত বিচার নেই! জানো এসব?
তাহলে ও আমাদের মত মানুষ চিনেই,কঙ্কাল হয়ে গেছে জাদুঘরে।
এসব যুগল মূহুর্ত ভুলে যাওয়া মনে প্রেম বাঁচে না, এরা সময় নিয়ে বাঁচে, সুসময়!
আর আমি বেচারা, দুঃসময় তাবিজ করে লটকায়ে হাটছি অজানায়।
যেমন হাটতাম একটা হাত ধরে সুখের হাটে, আজ সেই আমি বিক্রি হয়ে গেছি,
টাকার জঞ্জালে!
প্রিয়,এই সুখসময়,এই স্মৃতি,এই আমায় কি কোরবানি করে দিলে?






নিরিবিলি, নবীনগর
৩১/৭/২০২০