পাঁজরের হাড়ে চুম্বক আকর্ষণ হয়েছে আজকাল!
হাজার মাইল দূর থেকে অনাড়ম্বী একটা সুবচনী মেয়েকে বিধে নিয়েছে নাটাই সুতোয়।
তাহার অঙ্গুলি,গণকের লাঠির চূড়ায় ঠক ঠক আওয়াজ তোলে, বিষ দংশিনী মায়া পুতে ফেলা হয়েছে মেন্দী গাছটার নিচে,
মায়া গাছটা বাড়ন্ত হচ্ছে, কোথাও রং হয়ে ফুঁটবে ফুলের কলিতে।
জগতের ডাক এসেছে মজে যেতে, গেলাম;
চষে বেরিয়েছি শহরের এপাশ থেকে ওপাশ,এই শহরটা উপলব্ধি করেছি তোমার আয়তনে।
তোমার সজলনেত্রে এক আকাশ মাধুর্য দেখতে গিয়ে মাঝারি আকৃতির একটা জলচর পাখি আমায় ডানায় নিয়ে উড়াল দিলো,
সমস্ত সত্যগুলো মেঘের ভাজে ভাজে তুলির আঁচড় কেটে দিলাম,
উঁহু! এত ভালোবাসো কেন? তুমি বললে।
ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লে আমার হাঁটু আর হাতের ডানায়,শহুরে সবগুলো চোখ,প্যাঁচার চোখের মত করে আমাদের দেখে নিলো,
আমি তোমার ক্লান্ত বদনে ব্যস্ত হ্রদের নীরবতা দেখেছি বহুদিন।
তোমার সখ হলো নতুন একটা আবহ দেখতে,কাশফুলের সাদায় যেখানে মাখিয়ে রাখে,
নামতে গিয়ে চলমান গাড়ির অসতর্ক ব্রেকে একস্পর্শ লিপস্টিকের ছোয়া লাগিয়ে দিয়ে শার্টের মালিকানা নিয়ে নিলে,
ঠোঁটখানা এখনো আকা রয়েছে সেখানে।
বেহায়া বৃষ্টি তোমার রূপটা চুষে নিয়েছিল সেদিন,
তবু আমি অপলক ছিলাম ঠিক রাত্রি গাড়ির হেডলাইটের মত সতর্ক!
হুটতোলা রিকশায় মধুর আলাপন কানে লেগে আছে,সেই স্মৃতির বাগানটা পরিপূর্ণ হয়েছে তোমার লেপ্টে থাকায়।
এই প্রেম অনেক জ্বালা দিয়েছে তোমায়,তবু এতটুকু বেহেশতি সওগাত,
তোমার মুঠোবন্দি স্বপ্নগুলো জাগিয়ে রেখেছি আমি।
প্রেমের দানে ছক্কা মারাটা কঠিন বস্তু হলেও নিরলস প্রচেষ্টা এই ছেলেটার মরু উদ্যানে,
এমন একটাও দ্বিজ উদ্ভিদ নেই যারা তোমাকে-আমাকে চেনে না,ওরা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হতে যেয়ে ফিরে এসেছে মানব প্রেমে,
ওদের ভালোবাসায় কৃষ্ণচুড়ার দ্বৈপায়ন দেখেছি,বিছিয়ে ছিলো তোমার আচল বেয়ে যাওয়া অপেক্ষায়।
আজ ছুটি দিয়েছি সব বৃক্ষদের,তোরা ফিরে আয় এই সন্ধ্যাতারা মেয়েটির মাঝে,
আমি টুপ করে ঝড়ে যাওয়া শুকতারার টোকাই হই!






নিরিবিলি, নবীনগর
২৮/৭/২০২০