একটা সমুদ্র,জাহাজে ডুবে ছিলো!
কি, প্রথম লাইনে জুজু দেখতে পাচ্ছেন?
না,আসলে উল্টে গেছে পাশার দান,পৃথিবীটাও।
ক্ষণকালে, পরিচয় থেকে পরিণয়ের গল্পকাব্যের ভাবাবেগ কবিকে তাড়িত করে,
সে এক কলিযুগের কথাঃ
পথভুলে একপথে চলতে শুরু করার গল্পটাই মূল্যবান।
প্রথম পরিচয়ে স্বস্তিবোধ ছিলো না কভু,বরং অপছন্দের ঘনঘটা ছিলো।
দেখো না; কতটা আবদারে আমি প্রথম দর্শন করেছিলাম,
এতকিছু কুপোকাত করে মুক্তো গলায় চড়িয়েছি।
সেই ভো দৌড়ের কথা কি বাসি হতে পারে কখনো, বলো তুমি?
আজ নেশা হয়, চোখ চেয়ে রয়,আরেকটা বার ঘোড়া দৌড় হোক,
একমাত্র দর্শক হয়ে আমি বিজয়িনী দেখি।
তারপর কতশত বার হাটা দেখেছি, না! এ কোন সাধারণ মানবীর পায়ের কদম না,
জান্নাতি হুরের দ্রুত হাঁটা পা।
কতবার দেখেছি বৃষ্টি ছো'ও তুমি,ক্ষুধার্ত চিলের মত,
নগ্ন ভেজা শরীর ক্ষীনকায়, চাহনি পাকা হয়নি।
কাঁচাঘরের মত লেপা বাকি এখনো!
আমি মুগ্ধ হয়ে দেখে যাওয়া চাতক, কখনো জানাবো না এমন কষ্টি পাথরের মন নিয়ে বারবার হেরে গিয়েছিলাম,
তোমার দরজায়।
মনে পড়বে তোমার,নেভীব্লু স্কুল ড্রেসের চেহেরা,মনে পড়বে তোমার সাদা এপ্রোনের কলেজ সময়?
আমার মনে আছে,তখনকার গায়ের ঘ্রাণও! কিংবা রেখে দেয়া একদিনবাসি পরিধেয়র মিস্ক্ ঘ্রাণ।
অপরিপক্ক কথা বলার ধরন,কথা মিলাতে না পারার আটকে যাওয়া লাজুকতা।
একদিন তো বলেই বসলে আমাকে কেন,কি যোগ্যতায় এতসব ভাবা যায়,
কি আছে জগতের ভ্রম্মান্ডে তাকে হেফাজত করার মত!
এতকিছুর মাঝেও আমি শুধু তোমার সরলতায় আক্রান্ত হয়ে গেছি বারংবার।
জানলাম তোমার জীবন চাকায় চলে,
তবে বেওয়ারিশ লাশের মত,মাটি খোঁড়া যুক্তি নেই আর এখানে,মগজে কাঁচা গন্ধ।
তোমার সকাল হয়নি তখনো, ঘুমিয়ে স্বপনেই ভুলের সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে কিনারা পেলে না অথই জলের!





নিরিবিলি
১২/৬/২০২০