বনদেবী! গোলপাতার ঘরে কি তোমার শোভা পায়!!
একরাশ মিথ্যে গৌরবে আটকে গেলে মরিচিকায় ।


অসম্ভব কল্পনা আর অনুভূতি আত্বায় গেথে ফেলা সুর আপনা থেকে বেরিয়ে এলো,
ভায়োলিন অল্প সুরে বাজিয়ে পরে রইলাম পৃথিবীর এক জঙ্গল কোনে ,
অনুভূতির আশ্রয়দাতা কি সর্বদা মন হতে পারে ?
উইপোকা খুঁড়ে খায়, সারি সারি মেহমান, তুমি কি তাহাদের লালন করো?
নিজের প্রয়োজনে।


বন্দুকের নল কিংবা গুলির  নিয়ন্ত্রন নেই মনের উপর,
হয়তো মিলিয়ে যেতাম আনবিক বোমায় ।
সমীহভরে প্রতিটি পদক্ষেপ নিও প্রাচীরের মত আত্বায় ,
থিতু হয়ে যাচ্ছে একখানা অশরীরি কাব্য,
যেথায় তুমি আটকে যাবে আরশোলার তিন জোড়া পায়ে ।
আমি নবারুন টিকটিকির ছেড়া লেজে বসবাস করি,আলগা কোন অবহেলায় ঝরে পরে যাই ঠিকানাবিহীন ।


তুুমি জানো এসব ফিরিস্তি?  নাকি নাকের ডগায় আগায় ঘাম ঝড়ে কাচা মরিচের চিবোনো সংস্রবে।
মায়া না বাড়িয়ে হেলায় হারাও, যাও নদীর কূল ধরে যতদূর ভেসে চলা যায় আগন্তুক সৎকারে।
এখানে ভাসমান প্রেমিকের দল, অবেলায় লোলুপ দৃষ্টি ছেয়ে যাবে গহীন আকাশ,
কলকলিয়ে বৃষ্টি নামলে দেবী তুমি নির্জনে একা!
এসব আবদারে খাবি খেও না, বটবৃক্ষের শেকড়ে তাবিজ গোঁজা আছে তোমার জন্য।


তবুও অগ্নিচোখের দু'ফোটা জল জানে আমি তোমায় কোথায় রেখেছি, জ্বালা;
নিঃশব্দে তাই চুক্তিশূন্য হয়ে পরে এ চলমান হতাশ স্থায়ী পত্রমালা ।




রেডিসন
১৬/৯/২৩