দেবীপুর কি অনেক দূরের পথ?
হাটিতে গিয়া ভাটিতে উঠিলাম ,জোয়ার গেল কই হরিপদ?
কাহারে জানি দেখিলাম ঢেউয়ের মতন উচ্ছ্বাস ছড়ায় বুকে,চোখে!
চিকচিক বালুতে ভাসিয়া উঠিয়া মুখখানা অবিচল, রৌদ্রতেজে দুঃখ পাইয়া হারাইলো কোন গিরিসংকট।
আামারে আরেকবার তারে দেখাবা নি?
মায়া বড় খুন করিয়াছে মনের পিত্তি, তিতা হয়ে গেলে মাছের মত,
খাইবা কি কও?
এ দেখি স্বপ্নেও জ্বালাতন বাড়িয়াছো, বড্ড কাচা মুখ, বিহানের লাগি ছটফট করে ছাতি!
তাম্র মালা গলায় প্যাচিয়া মেঠোপথ কে মাড়ায়, ঘাসের গালিচার শুভ্র শিশির চুম্বন করে নিচতলা পা।
তাহার সঙ্গী হয়ে বহুকাল বাচিয়া রহিলাম, আক্ষেপ!
গতরে ছায়াসঙ্গী রাগ,পরতে চিহ্ন রাঙ্গুনাম-
কবে যে দেবীদ্বারে ভিড়িয়াছিল ভেলা, কথা কয় না; আসমানে চাও মৃত পক্ষী কি কথা কয়!
সে আর জাগিয়া কহে নাই ,মর্দ আমারে লইয়া যাও।
তাহারে রাখিয়া ফিরিতে গিয়া মন ডুকরে উঠিল, শেষবার কে জানি কহিল;
আমার ছায়া দিও নতুন ওঠা বাশঝাড়ে।




টঙ্গী বিসিক
১/৩/২০২২