প্রতিমা,দিগন্ত ছুয়ে মেঘের বাড়ি বেড়াবো বলে কুয়াশায় ঢাকা ভোরে যাত্রা শুরু,
কম্পমান আসক্তি দূরত্ব অতিক্রম করায়,গরু আর জোয়াল কাধে হালচাষের মতন, তুমি জানো হয়তো;
মাহুতের মত আমার এত কাবু শক্তি নেই,নিন্দনীয় কিছু শ্যাওলার মত একীভূত হওয়ার ক্ষমতা আছে।
এই টান তোমায় মাঝ দরিয়ায় ডোবাবে না,গভীর জলের মূল্যবান অলংকারে বদল করে নিবে ভালোবাসা!
মুক্তা সদৃশ্য বস্তুটা গাপুস করে পেটে চলে গেল ঝিনুকের।


জমজ কলাগাছের পেট ফুড়ে পাবে না ভিন্নতা,
যতটা আহ্লাদী মানুষটার পছন্দ আজ ছিন্নতা।


ছাউনির বুক ফুটা করে দিয়ে তীব্র তারা, জাগিয়ে রাখে বাকিটা রাত,
ঘুণপোকাদের সাথে কথা হয় কাঠ কামড়ে থাকা শরীরের,আফসোস দানা বাঁধে জানালার পর্দার আড়ালে থাকা দূর থেকে ভেসে আসা আলোয়।
জীবন কেবল ড্রেনে চলমান ফেলে দেয়া উচ্ছিষ্ট! আমিই তো ফেলেছি,নাকি?


গিট্টু কি এক রশিতে বাঁধে, যদি না উপায় থাকে,
চলমান নদী শুকিয়ে যায় অধিকাংশ জীবনের বাঁকে।


আমার কপাট খুলে দাও বাঁধের, বন্যা হোক, কিছুদিন স্থবির থাকুক হিংসা মন,
তারপর ত্রাণ নিয়ে আশায় থাকুক পেট, হিংসেগুলো ততদিনে পঁচে যাক ডায়রীয়া হয়ে!
দূষিত পানি তৃষ্ণায় ঝাকুনি দিলে, মহাকালে অহংকার নীরব হবে।


একটা সুখের ঘুমে প্রেম কূল পাবে চালা ছাউনির,
এত ঝড়েও যে আশাবাদী আমি,বন্ধ হলো ভাঙা,এ তীর।







নিরিবিলি, নবীনগর
২/৮/২০২০