এখনো হামাগুড়ি বিকেল ছুঁই,কাগজ পোড়ার ধোঁয়া অথবা নতুন ধানের খড়কুটো,
এসবে নিকোটিন নেই, প্রিয় স্বভাব!


আমি হেঁটে ফিরি গিরিখাত, মহাকালে রুদ্র সপ্তমী প্রতিমা;
এই দিবারাত অনুভব,আকাশ দেখে কাটিয়ে দেই তোমার অভাব।


এই চিরচেনা কালে সতর্কবার্তায় ঢেলে দেয় ফেনা তোলা সমুদ্র জল, সাইরেন বাজে;
কাল নাকি ১০ নম্বর বিপদ সংকেত!


প্রেমিকার কানে আসে না ধুবন, আশাহত গর্জন লুকোচুরি হয় জলের তলে;
এই চোরাবালি টান, নিঃস্ব পরিযাযক, পায়না সুঃসময় কাটিয়ে এ বিচ্ছেদ।


কাস্তে-কোদাল থামিয়ে দেয় বারমাসি অপেক্ষা, খিল রয় উর্বর জমি, বাজখাঁই জঙ্গল শুকিয়েছে শরীরি উত্তাপে,
পরবাসী আগ্নেয়গিরি থেকে কিছু লাভা এনে ছেড়ে দাও এর পেটে!


ছন্দরা কেঁদে কেঁদে হামাগুড়ি দেয় কবিতার পাতায়, এখন ঠিক ভোররাত,
কবি পায়নি প্রেমের কানাকড়ি, কোনো শব্দ ঘেঁটে।


এরপর সঙ্গী হয়ে এসেছে একরাশ ভারী বাতাস, দাঁড়িয়ে পরি হ্রদের নবম সীমানায়,
কান্না উড়িয়ে নেয় সমুদ্র বিলাপ!


জন্মের তীর ছেড়ে ফাটলে ফাটল ধরে এগিয়ে যায় এপার ওপার,
ডুবে যায় শেষ চুল, তবু আক্ষেপ জমে আরেকটাবার হোক দ্বি-কালের আলাপ।



এজিএস
১০/১২/২৩