আসসালাতু খাইরুম মিনান্ নাওম!
আশাবরি এক সকাল।


আমার সকাল শুরু হয়েছিল ঠিক দুপুর নাগাদ,মধ্য দুপুর!
আমি জন্ম নিলাম, ফুটফুটে হয়ে।
কেউ একজন মুয়াজ্জিন সুরে আজানের তোপধ্বনি ‍দিলো কানে।
আমি পেলাম,জীবন আর মা-বাবা, গণক পুরে প্রজা-রাজা শিঙায় ফু ধ্বনি তুললো, দুনিয়াসুদ্ধ সুরে।


ঐ জীবনই ভালো, আলমে আরহে,আরশে আজিমে;
কোন সকাল, দুপুর কিবা রাত নেই,জীবনের ক্ষণ শেষ হওয়ার আক্ষেপ নেই, পাওয়া না পাওয়ার কষ্ট নেই,বৃষ্টি রোদের পোড়ন্ত ছাতির মায়া বাড়ার চিন্তা নেই।
মনুষ্যত্ব বেচার চিন্তা নেই, সারকথা নিজেকে নিয়ে পাপবোধের হিসেবটা বড়অংকে হালখাতায় জমাও হয় না।


ধরণী ধারণ করে প্রকাশ্য জ্বালাতন,কত মানুষ আনাচে-কানাচে দুঃখ নিয়ে পেট শুকায়,কেউবা পেটে বেলুন লুচি করে!
এই বান্দার পাথেয় নেই, ঠুনকো কলসি আর ইঁদুরে কাটা পকেটে ঈমান গুজে রেখে কি,খোদার বান্দা হওয়া যায়! যে ধরণীর খোঁজে আছি তা বড়ই নিষ্প্রাণ, নির্জীব,
আমি হতভাগা নিষ্ক্রিয়।


বাড়তে বাড়তে বাড়ন্ত বয়সটা নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারি নি, কত আবদার, কত লালসা জ্বিহ্বা বন্ধি করেছি ইয়ত্তা নেই,
পরাপর,কফ জমে গেছে! প্রত্যেকটা গিট্টুতে।
ভুলে গিয়ে জীবন শুরু করলাম, পিছনে ফিরে দেখি একটাসময় বাচ্চা আমি হামাগুড়ি দিয়ে ক্রশ ক্রশ মাইল এগিয়েছি,
মস্তক লুটানোর হামাগুড়ি শিখে উঠতে পারিনি।
পায়ে ভর দিতে পেরে কি লভ্যাংশ জমলো!


একটা পায়রা উড়ে উড়ে হলফনামা উহ্য রেখে ফরমান নিয়ে হাজির,
চোখ মুদিতে হবে এবার,কি ভয়ংকর না!
ভাবা যায়; এই ধরণীর ঘ্রাণ,আলো,বাতাস, এত সম্পর্ক একা হয়ে যায়।
গাছগুলো স্বার্থপর হয়ে অক্সিজেন নামক বাতাসটুকু নাকের দরজা থেকে কেড়ে নেয়।
আসলে পৃথিবী কখনো আপন নয়, আপন তো নিজেও নয়!
দম ফুরিয়ে গেলে কেউ নিজেকে চেনে কি!


পরবর্তী আগমনী সুবেহ;
আসসালাতু খাইরুম মিনান্ নাওম!
কান অবধি আসে না, আগেও তালা ছিলো কর্ণে।
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক উপাদান নীতিমালা প্রয়োগ থেকে বিরত থাকে না,
ওহে নরাধম;
জীবন! গহ্বরে পরে থাকা অবাক মৃত্যু ফসল।







স্টারলিং লন্ড্রী লিমিটেড
২২/৬/২০২০