ওরে সেই মাটির খুপরি ঘর,গেরস্তের ধানবানা খড়,
কই গেলো হই হই রই রই চাঁদ;
গোয়ালের মহিষ জলে নায়,ফসল তুলিবার চাষী যায়,
কে বা পিছে বসে আছে হয়ে তোমার ফাঁদ!


দোস্ত চলো মাছ ধরিবার, কে করিবে গাঙ পারাপার,
গরুটা চড়ায়ে রাখাল ছেলে ফিরবে বাড়ি;
হরিলুট হলো চৌধুরীর গোয়াল, নতুন পানিতে হাঙর বোয়াল,
না না না, মানবে না সে, গিন্নি যে ধরেছে আড়ি।


সন্ধ্যা হাটের লঙ্কা চা, রক্তিম আভায় কামাড়ের বটি-দা,
আড্ডায় যত রাজনীতি ধার;
ফিরে গেছে নাইওরী মেয়ে, আউশ ধানের বিন্নী খেয়ে,
খেয়াল খেয়ে গেছে হিংসার মার।


দরিয়ার জল ঘোলা বলে,বায়না ধরেছে বউ নাইবে না জলে,
ধাউ ধাউ জ্বলছে রান্নার উনুন;
এ পাশে মরদ হাঁকছে কাশি,বাড়া থালায় ঘ্যানঘ্যান সুসময়ের মাছি,
নকশী কাঁথায় পল্লীবালার হাতকাপা বুনন।


গ্রামগঞ্জের পিরিত জীবন,ফুরিয়ে গেছে সেই অনুধাবন,
লংকা ঝাল চোখেমুখে;
মহুয়া ভাবীর বায়নার খোট, বৃদ্ধা দাদীর পানচাবানো ঠোঁট,
এরাই তো সুখেদুঃখে।


মাটি ডাকে নীড়ে ফিরে চল, থাম এবার তোরা আগুয়ান দল,
মনের তরে ভালোবাসিটুকু বল;
বাঁশঝাড়ে দাদু কইলো রে বোকা, বুঝলি না তুই খেয়ে গেলি ধোঁকা,
তবে তাকিয়ে দেখ বৃদ্ধ বাবার চোখের পল!


জীবন যেখানে থমকে দাড়ায়, কেহ প্রিয়জন কিবা নিজেকে হারায়,
গাঙের পাড়ের চিকচিক বালি;
আশাহত এক বদ্ধ ভোর, মুয়াজ্জিন কহিলো খোল খোল দ্বোর,
শেষলগ্নে মেরুদণ্ডহীন জীবন যেন চুলোর ছালি।





স্টারলিং লন্ড্রী লিমিটেড
২০-৬-২০২০