কত কিছুই তো হারাইয়া যায়।
বৈশাখ ঝড়ে কচি আমগুলান, এইখানে কার দোষ কইবেন? গাছ তারে ছাইড়া দিছে এতকাল পুইষা রাখার পর নাকি সে নিজেই মায়া ত্যাগ কইরা পতিত হইলো।
দোষ আছে! বৃষ্টি আর শীলা রে আপনি নিরপরাধ ভাবলেন কি কইরা?
হিংসায় খাইলে মন,কত কিছুই তো ফালায় ঝরাইয়া।
চৈত্র মাসে মাঠঘাট যেমন চৌচির হইয়া যায়, ক্যান হয়?
এই জমিন তো এমন নিঠুর না, পুইড়া পুইড়া চেহেরাটা বানাইছে ছাই!
কত্ত রঙিন তো চোক্ষের সামনে হারাইয়া যায়।
ঐ ঠাডা পড়া রৌদ! শুইষা নিছে বাকি জল যতটুক রাইখা গেছিলো বরষা;
তোমার চোখে শইষ্যা ফুল, আমার আমাবস্যা।
আমি যে কবিতা পুষলাম, শব্দে যাগো জড়াইয়া রাখলাম, লাইনে লাইনে কেত্তন গাইলাম;
কতজন-ই তো আমারে ভুইলা গেলো।
কিন্তু -
আমি যাহারে ভালোবাসিয়াছি মনে প্রানে,
তাহারে বুকের মধ্যে পুষিয়াছি বড্ড যতনে।
নিরিবিলি
১২/৫/২৪