কামার হাতুর দিয়ে অনবরত পেটায় কেন? কোন সদুত্তর পেয়েছে কোনদিন কেউ ভবে?
আপাতদৃষ্টিতে বিবাদমান কি ঝগড়াঝাঁটিই না লেগে আছে দৈন্যদশায়,
টাং টুং শব্দে বোঝা যায়,কারিগর কতটা হিংস্র আর তৈরীসময়কালে কতটা যাতনা পোহায় নতুন।
ওমা! এ কি যাদুকরী ব্যাপার;
জন্ম নেয়া জিনিসটি ক্রমান্বয়ে কারিগরের থেকে শক্তিশালী হয়ে ওঠে!
তাইতো একে কবি প্রেম বলে, প্রেমে স্বার্থ নেই তাই হয়ে উঠে ক্ষমতাধর দা বটি যন্ত্র।


লাঙলের ফলাকে জিজ্ঞেস করলে কি উত্তর দিতে পারবে কেন মাটির বুক চিড়ে এগিয়ে যায়?
এদের ঝগড়া একটু বেশিই, গভীরে আঘাত করে ফলনে বাধ্য করে!
মাটি যে নীরব বেচারা, সহ্য করে পোয়াতি হয়!
তারপর কতমাস তাহাকে লালন করে জঠরে, একদিন হাসি ফুটে মালিকের।
একদানা থেকে হাজারটা সন্তানের মুখ দেখে চিরঅম্লানির কেতন উড়ায়ে,
কবি একে খাঁটি প্রেম বলে আখ্যায়িত করে।


একটা গাছের আত্মকথন শেষ হয়ে গেলে শুকনো কাঠ হয়ে যায়,
ওর কত সহস্র জনম দাঁড়িয়ে থাকার অভ্যাসটা শেষ হলো অবশেষে!
হয়তো কারো অপেক্ষায় ছিলো।
দুঃখ বুঝলো না সবুজবীথি, চুপসে আত্মহত্যা করে নিলো।
তারপর জড় হয়ে প্রেয়সীর ছায়া হয়ে রইলো ঘরের পাটাতন সেজে,সে বোঝে নি কতটা ভালোবাসা ছিলো অপেক্ষায়!
কবি এটাকে মৃত প্রেম বলে।


ঠিক এমন করে আমি যখন জড় পদার্থ হয়ে যাবো,
থাকবে না কোন রেসারেসি,তোমার অবজ্ঞা থাকবে না আমার পাতে,
দেখো,তখন প্রেম হয়ে যাবে আমাদের।
তুলসীর চারাগাছটি দু'পাতা করে বেড়ে উঠবে, বাঁশের কঞ্চি থেকে অজস্র মাথাচাড়া দিবে সূচালো দাঁত!
এসব প্রেম হয়ে উঠবে একদিন গাঢ় আঁধারী আকাশের চাঁদে,
তখন তোমার বাচ্চাদের শিখিও,"আয়,আয়,চাঁদ মামা;টিপ দিয়ে যা!"
কবি একে জড় প্রেম,অমর প্রেম বলেই, অক্কা গেল!






স্টারলিং লন্ড্রি লিমিটেড
১১/৭/২০২০