কালক্ষেপণ,
অতীত; উত্তর গোলার্ধের এন্টার্কটিকায় বরফে জমা,
আর এখানে নিখাঁদ তরলের ঢেউয়ে তৃষ্ণার জল ছোঁয় মাছরাঙা টুপ করে জলের তলে,
এই মূহুর্ত টুকরো করে গিলে খাওয়া কংক্রিট কন্ঠস্বর।
পাহাড়ের কোল ঘেঁষে মেঘের মতন শুভ্রতা উড়ে যায় অচেনা বিদেশ!
নাহি সাধ্যি তাঁকে ছুঁয়ে যাবার, প্রজাপতির দূর থেকে ঠাহর হয় না চোখে, এ এক বিষাক্ত দূরত্ব।
সময়ের হিসেবে ব্যবহৃত ক্ষুদ্র পথ, গঙ্গাফড়িং লাফিয়ে বেড়ায় অতীতের শিড়দাড়ায়,প্রেমের বাহু কলে; তারপর ঝড়ে যায় ঠুনকো পা!
এই বর্তমান সবসময়ই অতীত, ভবিষ্যৎ এহেন পথভ্রষ্ট কালক্ষেপণ।


দুয়ারে  অপেক্ষা এক জাগ্রত সময়,
খিল নেই আটকে তাকে রাখার,জোছনা চাঁদ হাই-হ্যালো বলে  মিটিয়ে যায় ক্ষানিকটা অবসাদ।
এই চোখ বহু গ্রহ-নক্ষত্রের জমকালো বিয়ে দেখেছে,কেঁদেছে আবার অসংখ্য অকাল মৃত্যুতে।
নক্ষত্রের বিয়ে হয়? সম্ভবত হয়েছিল;আদিম কালে।এরা পরস্পর বাজা, বংশপরম্পরা নেই, সংসার নেই, প্রেম নেই; অতীত ও নেই।
শুধুমাত্র এক রুদ্রমূর্তির পৃথিবী নামক বাহনে,
সময় তার নিত্যকায় কালের ক্ষেপণে বরাবর এক তাজা অতীত!





নিরিবিলি, নবীনগর
৯/৪/২৩