সেদিন বিকেল নাগাদ বর্ষার আগমনে
ঝড়ো মেঘলুপ্ত আকাশের কোল ঘেষে অজস্র বর্ষনে,
হৃদপিণ্ডে দাড়িয়ে উদাসী আগন্তুক।
আমি অভিভূত, কল্পনায় এই যে তুমি
বৃষ্টির স্নিগ্ধতায় ভেজা শরীরে কে এই মানবী,
এসেছিলে মোর দ্বারে।
বড় উৎকন্ঠিত ছন্নছাড়া ঝড়ঝাপটার আড়ালে,
বড্ড শখ করে আশ্রয় দিলাম তালপাতা মোড়ানো স্নিগ্ধ রঙিন কাঠঘরে।
অপলক তাকিয়ে আমি নির্জীব হয়ে রই,কি অপরূপ
বৃষ্টির ফোটাগুলো তা যেন চুইয়ে মাটিতে ফেলতে ব্যস্ত,
খুব ঈর্ষা হচ্ছিল মাটির প্রতি,কেন রে,কেন;
সবটুকু সৌন্দর্য কেন চুষে নিচ্ছিস।
নির্বিকার  উত্তর -
আমি নরমাংসের শীতল পরশ পেয়েছি,
সৌন্দর্য সবার মনঃপূত।
নারিকেল পাতার ফ্রেমে বাঁধাই করা তাজমহল,
তোমার জন্য উন্মুক্ত রেখেছিলাম,
তুমি একপলক তাকিয়ে মুচকি হাসলে-
সে হাসি বিধাতা যাকে দিয়েছে
শতাব্দী তাকিয়ে থাকলেও নিষ্প্রপ হবো না আমি।
একাগ্রতায় চেয়ে আছি,কখনো চোখে চোখ সাথে বিরক্তিমাখা চাহনী তবে সাদামাটা।
উৎকন্ঠিত চক্ষুযুগল-
বৃষ্টি ঝড়া বর্ষায় শুধুই অরন্য রোদন।
আমার তালপাতায় মোড়ানো ঘর, তাতে কি?
বৃষ্টির প্রতি সরব আকুতি, প্লিজ চলে যেওনা
তুমি ক্ষিপ্রতায় ঝড়ো যেন প্রেয়সীর স্পর্শ আমি অনুভব করি,
মাটির মত বৃষ্টিও আমার প্রতিপক্ষ!
হঠাৎ-ই থেমে গেল,কি নিদারুণ যন্ত্রণা।
আগন্তুক মোর একপা,দু'পা করে এগিয়েই চলছে
দূরত্ব বাড়ছেই, তারপর চোখের সীমান পেরিয়ে মিলিয়ে গেলে
পিছু ফেরার অবকাশ নেই,একদম ভাবলেশহীন।
তারপর থেকে আর কোন বৃষ্টি আমায় মাতিয়ে তোলে নি
ঋতুর আগমনে স্নিগ্ধতাও অনুভব করিনি,
একপলক তাকিয়ে এতটুকুই প্রাপ্তি
গ্রীষ্মকালিন বৃষ্টির ন্যায় তুমি মোর ক্ষণিকের অতিথি।


শুকুরসী,ঢাকা
৮-৪-২০১৩