সে তাহারে লুকিয়ে রেখে জমাট বাধে মনে,
অক্ষর পুঁতি গাথে কবিতা হয় তাহার সনে।
অবুঝ আর্তনাদ জ্বলন্ত উনুনে পুড়ে হলো ছাই,
বৃষ্টি মহামায়া চুপ! মেঘের পানে কাতর হাত বাড়াই।


সে দেখে অবাক বিস্ময়ে উপভোগ্য রোদ তাপ,
মৃত কফিনে জড়ানো কবি, ফেলবে না কভু কবিতার ছাপ!


তাহারা এসেছিল শ্রাবণের ঘন বর্ষার মেঘের বানে,
তান্ত্রিক নই,এ মন অদৃশ্য দানব পড়তে কে বা জানে।
জমানো কৃষ্ণের সাধনার ফল বিক্রি হচ্ছে, দেখো সাধুমন্ত্রে,
রাধা জানে কলিজার দাগ, ফুসফুসে দগদগ ঘা হৃদযন্ত্রে।


কবিতা পড়িয়া হাঁপিয়ে উঠেছে গলা, খাঁকরে রহস্য,
অভিশাপ দিয়েছে মন্ত্র সাধক, হইয়া যাইবি ছাই ভস্ম।


এবার বুঝি বর্ষা নামিবে, খা খা চৌচির মনযন্ত্র কাতর,
দুর্গন্ধ মনে,কি লাভ হইবে ঢালিয়া সুগন্ধি শিশি আতর।
ঠকিয়ে নিজেরে গলাগলি করি শত্রুর সীমানায় বসবাস,
শিথানের বালিশ নিত্যকার সেখানেই যে তাহার আবাস।


আমারে ছাড়িয়া গদ্যছন্দ যায়, কলম কালি ফুরনো বাকি,
তবু তাহারে যতন করে এই কবিতার গৃহে পুষিয়া রাখি।




আশুলিয়া
৩০/৭/২৩