আকাশের বিছানায় ছেয়ে গেছে তোমার শাড়ীর নীল,
আমি বিদঘুটে সংস্কারে উড়ন্ত শঙ্খচিল!
যতদূর চোখ রাখি দেখে যাই এক মেঘবালিকার চুল,
আমি নিঃশব্দে এগিয়ে যাই,পাই রুক্ষ মরুভূমি; মরিচীকা, সে ভুল।


কাতর পাখির রন্ধ্রে সীমান্তের পাহারা, সে উবু হয়ে গন্তব্য যায়,
কথার সিংহাসনে কপাট,ক্লান্ত সুরে গায়,
আকস্মিক ঝড়, নেতিয়ে জীবন ছায়ায়।
আবাস ছেড়েছে মনের কথায়,শক্ত হৃদয় বান,যায় হায়!
মনের সবিস্তারে উল্লুকপাড়ায়,
অবশেষে রশিখানা ঝুলছে দেখো ঘরের আড়ায়।


শীতল বৃষ্টি ছন্দে নামে,নেয় কে খোঁজ হৃদযন্ত্রের কি হাল,
হেঁসে দিয়ে যায় কুয়াশার আধারে কলালক্ষ্মী এক গাল!
কান্না তবু চোখে চোখে রেখে ঠেকিয়েছে বৃহস্পতি,
মুঠো চালের গুড়োয় মাখা অন্ন প্রসাদে রেখেছ এ কোন রতি।


হেরে যাওয়া সুখ কোকিলের ডাক; কাকের অনুরূপ সাজ,
বাঁচিবে কোন বাসস্থানে নাহি জানিলো আজ,
চিকচিকে বালু রহিছে সংস্রবে মাথায় পড়িল বাজ।
মাটির গভীরে প্রেম যেন পঁচে বহুকালে আক্ষেপ বয়ে,
অনুসন্ধানী মন যাতাকলে পরে যাচ্ছে নিমিষে ক্ষয়ে,
পিঁপড়ার মাথা হাতির পদলে সবটা যাচ্ছে সয়ে!




টঙ্গী বিসিক
২৩/৫/২৩