একটা রেল ইঞ্জিনের কতটুুকু সহ্য ক্ষমতা!
বগির পর বগি ওর ঘাড়ে তুলে দিলে গাধার মত বয়ে বেড়ায়,
ধরণী গাধার ক্লেশ অনতিবিলম্বে ভুলে যায়,এ বিশ্বাস ছিলো না বলেই বহুদূর পথ হেঁটে দেখলো পিছনের সব দাগ মুছে ফেলা হয়েছে,
পায়ের দগদগে ঘা পঁচে দুর্গন্ধ, সয় না সেই মুখিয়ে থাকা অন্তর।


হঠাৎ তৃষ্ণার্ত কাকের যেমন অবস্থা বেগতিক হয় ওমন দুর্দশায় পরেছে এ প্রেমিক,
সামনে যে এক সমুদ্র পাড়ি দিতে হবে!
মাঝি নেই, ছই নেই, পাল নেই তবে এটাকে কি বলবে?
এই যাত্রী মাঝপথে ডুবে মরুক বলেই এমন অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করা হয়েছে,
হ্যাঁ, অবশ্যই করা হয়েছে।
কলুর বলদ মার্কা ধরিয়ে দিয়ে উপহাস করা হয়েছে!


বিভাজনীয় সূত্র জানা ছিলো না বলে অংক মিলেনি বীজগণিতের,
কত পৃষ্ঠা; সূত্রে লিপিবদ্ধ করে দেয়ালে টানানো, কে রাখে তার খবর, সব জীবন্ত হিসাব!
পিছনে এমন কত হিসেবের সূত্র খন্ড হয়ে গেছে তা ভাবনাতীত, তবুও ধোপে টিকেনি অল্পদর্শী আঙুলের কর গোনা হিসেব!
সমাজ চায় পীথাগোরাসের উপপাদ্য, বিশালাকায়;
বাহু জোড়া হয়ে সম্পাদ্য হয়ে উঠুক কিংবা এই সম্পাদ্য মিলে পরিপূর্ণ কোণ তৈরী করুক, চায় না কেউ।
এসব নাকি জটিল সমাধান!


পরীক্ষায় পাশের একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠা এই উপপাদ্য ছেড়ে কেউ কি অনিশ্চিত সম্পাদ্য প্রমাণ করবে বলো?
প্রেমিক ভেবেছিলো, সুনন্দা ক্রিয়েটিভিটি পছন্দ করে ভবিষ্যতের জন্য রেখে দিবে,
কি যে হলো,গতানুগতিক ধারায় মুখস্থ উপপাদ্য প্রমাণ করে, লিখিত আকারে বললো সম্পাদ্য তুই বাড়ি যা!
আমার ধারণার পাল ছিড়ে গেছে,প্রচন্ড ঝড়ে কাত হয়ে গেছে কবির লেখা,
এসব এখন বটতলার উপন্যাস মনে করে প্রেমিকা।
আহা! ছেলেটির আক্ষেপ বাড়লো বৈ কি।


কি হবে এবার কবির, চৌকাঠ মাড়ায় নি যে বাস্তব ব্যাকরণের,
সস্তা রসিকতা করে প্রেমিকা গুটিয়ে নিয়েছে বিছানো মায়ার চাদর।
লেখা জমা হচ্ছে সব দু'এক লাইন করে,এসব আর প্রেম হয়ে ওঠে নি,
সিন্দুর নেয় নি এতকালের মনসঙ্গী।


ভাগ্যিস কেউ শোনে নি, উজবুক কিছু লোক শোনায় নাদান তোর গলায় দড়ি প্যাঁচানো হবে,
একবার ভাব, তুই নিজে দিবি নাকি প্রেমিকা পেঁচিয়ে দিবে দড়ি!





স্টারলিং লন্ড্রী লিমিটেড
৪/৭/২০২০