আমার ঊষালগ্নে যে সূর্যি ভাসে,কিরণ হয়ে দেখা মিলে রক্তকণিকার,
আলোকিত পথের সন্ধানী জাহাজ,
চিন্তালগ্ন থেকে চিন্তামগ্নতায় ঢের বাঁচিয়ে রাখবার প্রয়াসেই অনুসন্ধান করি এমন আত্মার অস্তিত্ব।
গহীন শব্দে পার্থিবী হয়ে ওঠা রমনী আমার মা।


ত্রিদিব হতে ত্রিদিবেশ এমন এক অস্তিত্ব আমায় দিলো আমি যে তৃষাতুর ছিলাম জন্মের আগেই,
তুমি আমার মা হবে বলে।


পঞ্চদশী লাগে না আমার বাস্তবতায়,
এতটা কানায় কানায় পরিপূর্ণ করে দিয়ে বিধাতা আমায় পরীক্ষায় বসিয়ে দিয়েছেন,
এতটা আস্বাদন নিয়ে আমি এর রপ্ত করি,
জগতের গোড়াপত্তন হিমসিম খেয়ে যাবে,
আমার সিজদায় আলো হয়ে ওঠা রমনী তুমি মা।


এতদা তোমায় নিয়ে কল্পকাব্য,গল্প,কবিতা হয়ে ওঠা ঝড়ে থেমে যাওয়া তুমি,মা নও;
কিংবা বৃদ্ধাশ্রমের আশ্রিতজন নও তুমি মা।
তোমার তুলনা নাড়ী জানে, ধুমিকা কাটিয়ে যে স্পর্শ দিয়েছে এক নতুন সকালের,
তার অপেক্ষা পৃথিবী করে, আমি তো নিতান্ত সন্তান!



নিরিবিলি, নবীনগর
১০-৫-২০২০