মেয়ের বাবা কহিলেন-
নিবা তারে?
তবে গাঙ পেরিয়ে আসো এইপাড়ে।
আমি কইলাম নৌকা নাই,
কয়ঃ মিয়া কি পারো, মুরদ নাই! সাঁতরাইয়া আসো। সাতার পারি না যে;
তয় নৌকা কিনো!
অর্থ নাই,কামাই নাই।
এবার কহিলেন, ডুবিয়া মরো বাছা,এপাড়ে আইসো না,সাজিয়ে রেখেছি বুনো বাঘের খাঁচা।


মেয়ের বাবা কহিলেন-
দেখো কি তাহারে?
তবে অর্থদান ঘটা করে দাও বাহারে।
আমি কহিলাম কিনিতে আসিয়াছি নাকি?
ধমকে বলিলেনঃ বেয়াদব ছেলে। কত যুতসই আমদানি আমার বারান্দায় নিয়ে ঘোরে ঘটক!
ছেলেকে চিনিবেন কি করে? 
এত বুদ্ধিশুদ্ধি কথায় আটকাতে এসেছ।
কহিলাম সুখ কোথায় জানেন?
এবার কহিলেন, সুখের খোঁজেই এতসব খুঁজে ফিরি, তোর তো সবটা বাজখাঁই, সব অসামঞ্জস্য গিরি।


মেয়ের বাবা কহিলেন-
তাহার রূপ লাবন্য অপরিমিত!
তুমি তো দেখি বাছা অত্যাধিক সীমিত।
আমি কহিলাম, সৌন্দর্য বেচবেন মেয়ের?
বেয়াদব উল্কাপিণ্ড তুই,খসে পরেছিস তাই।
অনুপায়ে বলিলাম কিনিবো না হয়।
কতশত কাবিনের ঢাক বাজাতে পারবে ছেলে?
না হয় পুরোটা শরীর ঢেকে দিয়ে দেব। তবে তাই হোক,হোক বা না হোক!
এবার কহিলেন, পশ্চাৎপদ মাটি আছে কিনা দেখো, বসিতে না পারিলে আমায় দেখে শেখো।


মেয়ের বাবা কহিলেন -
তারে রাজি করাও তো দেখি,
অনুভব, তার অন্তরালে লুকিয়ে ছিলো মেকি!
আমি কহিলাম,বুঝিনি এ বিপনি বিতান,দূর দূর করে ভেসে আসে আবহ কলতান।
এবার মেয়ে বলিলো, বাবা সাক্ষী; চিনি না যাহা এ জনমে তাহা কি থাকে পরজনমে?
কোথায় সেই গিরিনক্ষত্র চাঁনবাতি,অসৎ ঘরে ফুটো হয়ে রও।
এতদা, কানে ভাসিলোঃ আমি....................
এবার একযোগে কহিলেন, বেকসুর খালাস করে দিলাম,
আমরা এই চাই, মুক্তির স্বাদ বড়স্বপ্নে গিলে খেলাম।





স্টারলিং লন্ড্রি লিমিটেড
১৩/৩/২১