আমি তার টুটি চেপে ধরে বলি, সখি পাহাড়ে চলো; জানো তুমি? এই ঢাল বেয়ে নেমে গিয়েছে কত জমা কথা!
আমরা উঠতে উঠতে নতুন কথার পাহাড় হবো।
সাপের ফোঁস ফোঁস শব্দ ডিঙিয়ে লতাগুল্মের মাঝে বেঁচে থাকা চাঁদ দেখি বিস্ময়ে!
পাহাড়? আমি কি চাঁদের সন্নিকটে বাসা বাঁধি? এত কাছ থেকে ছুয়ে দেখার মাতাল তৃষ্ণা চাঁদ জানে?
সে সূর্যের প্রখরতায় আমাকে কেন পাঠায়? আমি যে বন্দি হতে চাই কালো আঁধারে তার মৃদু ছায়ায়।
পাহাড়! আমার না বলা কথাটা তাকে বলে দিও।
ও চাঁদ, তুমি চিকচিকে জোছনার আড়ালে মৃদুমন্দা কম্পনে ধূসররঙ ছাইয়ের মত হাওয়ায় ভেসে কাপিও না আমার ভীত!
নাইবা রবে তারার পাশে তবে কিংবৎ চেহেরাটা রসুনের মত বাকল খুলে কেন ধ্রুমজাল উন্মুক্ত দ্বার,
শব্দটা বাকি রয়ে গেল হাহাকার করে।
এই একটা শব্দেই তো বহুবছর শেকড় গজিয়ে বুড়ো বটগাছটার মত শেষ বিকেলেও আঁকড়ে ধরে প্রজাপতির ডানা।
বড্ড হালকা এ অনুভূতি, নেভাল জাহাজে সমুদ্রে ভেসে যায়! তিমিদের খেলা দেখে নীল জলে,
এত আহার কোত্থেকে জন্মায়?  জানো তুমি?
তবে উশখুশ মনকে বাঁধা দাও, আমায় নিয়ে যাও তোমার দেশে,
হয়ে যাই তেপান্তরের কাঁদা মাটি, তুমি লেপ্টে রাখো গায়ে।
আমি না হয় সামান্য কাপুনিতে তোমার কাঁথা হয়ে রবো।
ও চাঁদ,তব মুখ ঢেকে রেখো না, আলো ছড়াক ঝাল মরিচের সুরসুরে হাঁচি নিয়ে,
সবাই পলায়ন করুক, এড়িয়ে চলুক তোমায়।
আমি আলবাৎ তাকিয়ে থেকে মমি হয়ে রবো।





নিরিবিলি, নবীনগর
৪/৬/২০২১