এই অসময়ে একটা শাপলা ফুটেছে;
ছোঁয়া মুল্লুকে বাহাদুরি নেই সাঝের বাতির,দিন তো কৃষ্ণপক্ষের গৌড় আদলে গড়ে ওঠা রোদ!
বহুকাল যাবৎ শব্দচয়ন করতে করতে মেঝো ধাঁচের কবিতা মানুষ হয়ে গেলাম,বাকি অব্যক্ত লেখাগুলো চন্দন ছুঁয়ে কথোপকথন হয়ে উড়ে যায়।
তবুও এই অসময়ে শাপলালতা হাহাকার করে,তল নেই!


জরাকীর্ণ দুরভিসন্ধি কাজে এসেছে চিত্রকল্পের শেষ ছবিতে,
এক লবিতে দাড়িয়ে দাঁড়কাকের আগমন আর শুনি না,সেথায় শকুন মরে যাওয়ার গবেষণা শেষ;
ভস্ম,ভূতনাথ ললাটে চুম্বন করে রুদ্ধ বৈঠক শেষে মাটি কাঁদা রূপ নেয়।
কি অদ্ভুত, তবু এই অসময়ে একটা শাপলা ফুটেছে।


সেবারও পালিয়ে যাওয়া কোকিলের ছানা কাকের মত ডাকতে ডাকতে কোথায় যেন খটকা লাগিয়ে দিলো!
অবিশ্বাস্য ললাট কি বলে?
জাগুয়ার হিংস্র মুখে বেঁচে যাওয়া সময় পিছনে ফেরে আস্ফালন করে, দক্ষিণের রাস্তাটা কই!
এই বনেবাদাড়ে কোকিল-কাক একছাদে থাকে কি করে বলো?
উজার হয়ে গেছে সব জলদস্যু,ভূমিদস্যু আর বনদস্যুর খামচিতে!
বাকি সময়ে ঘুমন্ত পরীর পুকুরে,অবিশ্বাস্য একটা শাপলা ফুটেছে!






নিরিবিলি, নবীনগর
১-১-২০২১