ওপাড়ে শ্রীমতি ডাকে রবীন্দ্র সুরে!
আমি যাই ফিরে নিজের নীড়ে,চিৎ হয়ে ঘুমাই,প্রবল দাবদাহে সকালের ঘুম ভেঙে খুঁজি মায়া শ্রী'কে,
উড়ে যায় ঈগলের ডানায়,আমি ডাকি ইশারায়,
প্রাণ যায় যায়,ডুকরে কাঁদে কয়েক ফোটা রক্ত।
আমি ফিরি আকাশের ডাকে,বৃষ্টিসুলভ মেঘের বান ছুটে আসে জলোচ্ছ্বাসের মতন,
আমার থাকার মাচাখানা কই গেল ভেসে,দেখেছ হাঙর?
আমায় গিলে খাও,তবু ছেড়ে দাও তাহারে!


গগনচুম্বী কবুতরের ডানায় বাধা রশির কারণ জানে না কেউ,
খালাসি নৌযানে সূদুর দৃষ্টি রেখে গেছে রিজিকের অন্বেষণে।
কাক ডাকে পঁচা নাড়ীভুঁড়ি নিয়ে গেছে শিয়ালে, ইদুরটা লুকিয়ে গেছে ক্ষেতের গর্তে,
তবে কি হবে আর বলো,তুমি মাকড়সার জালে আড়াল করে নিলে নিজের মূর্তি!


রম্যগল্প করতে করতে অট্টহাসি দিয়ে দিলাম,বাকিসবাই উপহাস করলো,
গাধার খাটুনি রয়ে গেছে মনের বহ্নিতে!
ওহে তরী,আমায় ভাসালে কেন ঘোলা জলে,ডুবে যাই, হাত বাড়াও,মুখে নিঃশ্বাস দাও ফু মন্তরে।
একটা মালগাড়ী টেনে বাকি জীবনটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে মেরে ফেলি।
তারপর,সমগ্র প্রেম কাষ্ঠে পোড়াবো,ধুতরা পাতা ছিটিয়ে!
আমি তো এই প্রেমের-ই অংশ নাকি!






নিরিবিলি, নবীনগর
৭/৮/২০২০