সন্ন্যাসীর বগলে নাকি গন্ধ ভোজপুরী
চিন্তার মগজ গলে নিদারুণ আহাজারি,
হেথায় রঙিন খামে লেখা রত্ন তিলক
জমিয়ে দিয়ে কেটে পরে তেল মুল্লুক।


সাধনার লাল টিপ ছুঁয়ে কপালে টোকা
নিয়ে নাও চুপিসারে নামওয়াস্তে মওকা,
গরজ করে নিয়ে নিলাম এক সিদুর লাল
গায়ে জড়ালে উষ্ণতা দ্রুত শীতার্ত এক শাল।


তবারক বিলাও নাকি প্রসাদ বনমালী
খুঁজি রক্ত ধোয়া মন উড়িয়ে চুলোর ছালি,
গতরে মাখো কালি দেখো রূপ চৈতন্য তাহার
আকাশে তাকাও সব চেয়ে নেয় ভঙ্গুর আহার।


সামনের অংশ ভাঙাচোরা দরজার কাঁচ
আমাদের মন নিয়ে নিলো ধোকা ধ্বংশের আচ,
চাকায় নাকি পেরেক পিন ঢুকে গেছে বহুদূর
থামো, না হয় প্রিয়মন তাড়িয়ে দিবে একপশলায় হুরহুর।


স্বভাবের বৈচিত্রে মানব হয়ে গেছে বনশুর
চিড়ে ভিজে একাকার ভেস্তে গেছে আস্ত গুড়,
বাজারে দর বেড়েছে শতাংশ ঠেকেছে আগায়
টাকা তারে সে টাকারে মিছেমিছি খেলায় ভাগায়!


সব সাধুতা ভেস্তে গেছে মুখোশের মুখোমুখি
সন্নাসী আর নেয় না এখন পকেটের ফাঁক গলে ঝুঁকি,
পাহারাদার সজাগ নাকি রাত বিরাতে আজকাল
আবরণ ঝেড়ে ফেলে তাকিয়ে দেখে তাবৎ মহাকাল।




টঙ্গী বিসিক,
৭/৫/২৩