ছিড়ে দাও ছড়িয়ে একটা ফুলেল সুবাস,কাঠবিড়ালি নামুক বাকল ধুয়েমুছে,
বিষপোকাটা গা ঝিমঝিম শিহরন তুলে পালিয়ে যাচ্ছে বহুদূর!
মাটির গভীরে শব্দ আসে সুরঙ্গ চেরা অসংখ্য লাশের, বাস্তুগত জীবন্ত জীবের বসতি এই মাটি,
খেয়ে ফেলে গুড়া গুড়া অপেক্ষা,ক্ষয়ে যায় বিশ্বস্ত পর্বত।
কে জানি তবু খুঁটা গেড়ে কীর্তন গায়, শোনায় আশার চ্যারাকবাতি!
রহিতে সুখ কে জানি অসুখ চড়িয়ে দিলো সিদ্ধ পাতিলে,লেবুর দুচারটে পাতা মলিয়ে দিলাম তোমার গা ছুঁয়ে।
এই সুবাস হারিয়ে দেয় আপেক্ষিক তরঙ্গ, সমুদ্র থেকে মন অবধি পৌঁছে যায় অস্পৃশ্য ঘর্ষণে!
গাছে গাছে মামুলি সংঘর্ষ মেপে দেখেছ কখনো? বর্ষা মাতায় এমন শব্দ,এমন গর্জন তিমিও করেনি হাস্যজ্বল নীল পানিতে।
বোকার দাঁত কপাটি হুর হুর করে বালুতে হারিয়ে গেল,এই হাসি বড্ড বিশ্রী, কদর্য!এই রূপে আস্ফালন করেছে একঝাঁক বোকা জংলী।
সন্ধ্যার হলুদ বর্ণে কিসমিস চাবাতে গিয়ে নিজেকে অনেকটা সুখি মনে করা মানুষটা ইট পাথরে জমজম কূপের ড্রয়ার আটকে বাঁচতে চায় না,
পরীক্ষক বসে আছে সামনে কয়েকদিস্তা খাতা রিজার্ভ করে।
কি আশ্চর্য কেউ নেই কয়েকপৃষ্ঠা লেখার অথচ আমি কয়েকশ পৃষ্টায় একটা গল্প লিখেছি,
কাল্পনিক অস্তিত্ব তুমি!
আমার কোন অতীত নেই!বর্তমান সেকেন্ড,কাঠপেন্সিলের ক্ষয়ে যাওয়া রাবারে অতীত মুছে পাতায় লিখি আর ভবিষ্যৎ তুমি কষ বৃক্ষ ছুয়ে নেমে যাও আমার বাহুতে,
কবচ হয়ে তুমি লেপ্টে যাও গা শিহরণে।






স্টারলিং লন্ড্রি লিমিটেড
১৩/১০/২০২০