একমুঠো পান্তার স্বাদে মুখরোচক পেয়াজ আর মরিচের সম্মিলিত প্রয়াস ব্যর্থ হয় না,
যন্ত্রনা দমিয়ে দেয়ার প্রচণ্ড ক্ষমতা দাপিয়ে বেড়ায় পান্তার বিষন্ন ঘোলা পানি বা চোখ অশ্রু!
মন্দায়, ঝালবিষে দগ্ধ করার মত ব্যাধিব্যপ্তি থেকে গেছে মরিচে ।


তুমি জানো তো এতকিছু বাদেও কালোজিরা কিন্তু মহাষৌধ।
বেঁচে থাকার মহাপ্রাজ্ঞ অনুদানে আমাদিগকে শিল পাটায় ফেলে চুষে নেয় রস!
এখানে শুধু কাজলদিঘীর মহুয়ার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব।


অতঃপর, একমাত্র সম্বল আবদারের মহাস্রোত।
তৃপ্তির নিঃশ্বাস ঘাড় অব্ধি না পৌছালে ব্যাপারটা কি হঠকারীতা মনে হয় না তোমার?
তবে প্রকৃতির অসমাপ্ত প্রেম ভুলে যাও,
জড়িয়ে পর কোন অনাকাক্ষিত ব্যস্ততায় ।
অন্যথা, তোমার কোমড় জড়িয়ে বাচবে কিছু লিপ্সার চাহক,
তুমি থাকবে না চোখের কার্নিশে,মনের শান্ত স্রোতে।
তখন হেসে বেঁচে যাবে কিছু মিশ্র জীবন ।


অনাকাঙ্খিত ফলাফল প্রেম হাটে টাঙিয়ে দিলে তবু আগ্রহ ভরে চোখ তাকালো সাইনবোর্ডে!
অবিশ্বাস্য!  এখানে সব আধিকারির মেলা।


পরিযায়ী পাখির মতন যাযাবর হতে হয়,এই জীবন সংমিশ্রণে আগায়,
হঠাৎ শিকারির চোখ পরলে বরণ করি মৃত স্বাদ!
এখানে পান্তা নেই,কিংবা জাফরানে মিশ্রিত উপখাদ্য।
বিবেকের মতন সব সম্ভারে পচন ধরেছে, সব চোখ ধূ ধূ মরুভূমির মরিচিকা দেখে আগাচ্ছে, শেষাংশে ঠকবাজি।
আখি আগলে বাঁচো নয়তো চাঁদ জোছনার আলাপন কার্ণিশে ঘুমিয়ে থাকবে শত মহাকাল।


কেউ নেই, কেউ না থাকে আজ; তবে!
পচনশীল জলজ হয়ে বাঁচা মানে, জানো কি?



নিরিবিলি
২৮/৯/২৩