একদলা রশি পাকিয়ে শিষ্য সুধালো,ওস্তাদজী ভালোবাসায় পরিনতি কি?
শেষ অবধি মালা জড়িয়ে আত্মচিৎকার করতে পারবে সাগরেদ? তবে রশিখানা গলায় প্যাঁচাও আর উপলব্ধি করো মৃতসুখ!
এটাই আপাতত ভালোবাসা।


অনেককাল পরে,বাছাধন বড় হয়ে উঠলো, জিজ্ঞাস্য -বাবা ভালোবাসা কি?
তোমার মায়ের কোঠরে বড় হয়ে ঔঠাই জাগতিক সব প্রেম,তোমার মা যেদিন বউ হয়ে এসেছিল আমার কুঠিরে সেটা ভালোবাসার শুরু,এর সমাপ্তি নেই।
এ বড় দারুণ অভিব্যক্তি প্রিয় রক্ত!


চাঁদের ছাদ দেখেছ কখনো বালক, নাকি প্রেমিকার সঙ্গোপনে চাঁদকেই দেখেছ শুধু!
তবে হারিয়ে যাবে করুন অন্ধকারে, ফুটা ছাদ জোছনা ঝড়াবে ভেবো না,কুয়াশার হিমশীতল ঠান্ডাও হতে পারে।
তোমায় লুকাতে চায় অস্পষ্ট দ্ব্যর্থতা! রেখে যাবে ত্রিভুজের কোণে।
বেঁচে মরো গাঙ্গের পাড়ে,মাটিচাপা হোক কবর!


প্রেম সঙ্গিত হয়ে কিছুদিন হাপিত্যেশ করুক আর ডানা ঝাঁপটাতে থাকা পাখিটা নিথর হয়ে কোন এক জঙ্গলে থুবড়ে পরুক আমৃত্যু।


টিনের চাল খা খা করুক রোদে,আর বাতাস বহুক তোমার দরজায়!
পাপপুণ্য কে কার টা জানে,তবে হয়ে যাক আগাম হাশর!
আত্মহত্যা তো ঝুলে যাওয়া অবিশ্বাস।


কেন এসব বহ্নিকর্ম রাতের শুরুতে হুল ফুটিয়েছে বহু গাছে,বছরান্তে বিয়োগ হলো রক্তলালসার!







নিরিবিলি, নবীনগর
৩১-১২-২০২০