অনল চোখে মৃত্যুকূপ দেখেছি হাজারবার
আড়চোখে তবু ফিরে দেখেছ আমায় আবার,
কি দরকার ছিলো সুখ পুষে কষ্ট পাবার
নেই বেলা ফুরাবার চিহ্ন, এই ধরায় রহিবার।


কামুক চোখে প্রেমের বাতিঘর নিদ্রা যায়
কে বা কারে ভালোবেসে কারেই বা পায়,
দগ্ধ চুলোয় হাড়ি চড়ে না,আগুন কোনদিকে ধায়?
আর কি রবে অপেক্ষায়,মাঝি বৈঠা কোথায় বায়!


ফিরে চাহে না কেহ কাকতাড়ুয়া দাঁড়ানো সে পথে
গৃহ ঝুলে পরে দক্ষিণের বাতাসে,সঙ্গী নেই সাথে,
রুদ্র আজ বুঝেছে বেশ ছিল শিউলিতলার সেই রথে
কেন কি ঝঞ্ঝা,মাটিতে লুটায়ে মন,শুকনো মরিচ ক্ষতে!


তোমাতে বিবেক জাগ্রত না দেবী,রহস্যের গন্ধ নাকে
দড়ি পেঁচিয়ে গলা পেতে দিলাম ফুসরত নেই বাঁকে,
নিপীড়ন সহে গেছি জানে না সে, কত দাম তারা হাঁকে?
জিহ্বাখানা দিয়ে রেখেছি,টোপ সমেত বাঁশের চ্যাড়ার ফাঁকে।


রহিলো না আর প্রেমের পুষ্টি যোগান নেই অক্সিজেনে
নিশ্বাস তবু আটকে ছিল গলায়,বাকিটা দেখার ক্ষণে;
কবিতাখানি কথা বলে আজ,এই ছিল তাহার সুপ্ত মনে
ভবিষ্যৎ হবে রাজ্যকন্যা,দেখেছি জমানো তাহার পণে।


শুকিয়ে গেছে মায়া নদী জল,কথার ঝুড়িনামা
দেখো এসে দেখো,কাঁদে কিভাবে একঝুড়ি পয়নামা,
রক্তাক্ত বুক ফোটা ফোটা তবে বেঁধে রেখেছে কোন জামা
আমি কে ছিলাম তোমার কাছে জানাবে কি প্রিয়তমা?





নিরিবিলি, নবীনগর
১৬/৮/২০২০