সেই তো তুমি এলে অনেক বক্ররেখায় ঘুরে
তবে কেন আমায় বিভক্ত করলে,
প্রথম আর শেষ তুমি হলে,একটা তুমিতেই বাস হতো জোড়া শালিকের।
নারকেল গাছের ফোঁকরেও যে স্বপ্ন বোনা যায়!


সেই তো তুমি এলে আকাশে বৃষ্টি ঝড়িয়ে
কাদামাখা পথের কি দরকার ছিলো,
আমি যে ভীষণ ক্লান্ত হয়েছি হাটতে হাটতে, এ পথ যে গন্তব্যের নয়।
সঠিক পথ সম্পর্কের সুক্ষ্ম কারিগর!


সেই তো তুমি এলে, ছিলে বা'পাজরের হাড়ে
তবে ক্ষনিক বদলের কি প্রয়োজন ছিলো,
তব রূপে ক্লান্তি ঝরে বাতাসের বেগ বেড়ে যায়, আমি মৃদুকম্পনে জেগে উঠি।
সত্যি তুমি হওয়ার অনুভব, বিস্তৃত দিগন্ত!


সেই তো তুমি এলে নুড়ি পাথরের বোঝা চাপিয়ে
এতটুকু বদনে সয় কি করে কষ্টের বিশালতা,
অধিক শোকে পাথর এ মন যে ক্ষুদ্র হয়ে আছে, চাপা কষ্ট সরিয়ে সুরের বাঁশি হয়ো।
অপেক্ষার কাল ফুরালে সুসময়ের কাটা চক্র করে!


সেই তো তুমি এলে,আমি এলাম,এক কাটাতে আশ্রয়
জোড়া শালিকের বংশ পরম্পরায় প্রবাহিত হলো প্রেম,
এই সুখের নিয়ামক বিশ্বাসের হ্রদ,মরুভূমির তপ্ত বালুও আজ প্রনয়ে মাখামাখি।  
তবে কেন আলাদা ছিলাম দু'জন শেষের শুরুতে!



নিরিবিলি, নবীনগর
১১-৫-২০২০