আমি ষাটোর্ধ এক যুবতীর প্রেমে পড়েছি,
চোখের পাপড়িগুলো দূর্বাঘাসের ন্যায়
পনের ষোল যৌবনা নারীর দেহের ভঙিমায় জেগে উঠেছে।
ললাট,চিবুক একটু লালচে ঠোঁট; হিংসের ভঙিমায় আকুতিপত্র লিখেছে দৃষ্টি বরাবর,
চোখ সামান্য কুঁচকে আছে অস্বাভাবিকতায়।
পরশ্রীকাতরতার মাঝে কার হাওয়ায় চুলগুলো একটু নড়েচড়ে বসে সেটা দেখার অপেক্ষায়,
আমি ষাটোর্ধ এক যুবতীর প্রেমে পড়েছি।
অগ্যতাবশত প্রেমে পড়েছি আমি,রূপের টান আমার কাছে মামুলি একটা বিষয়,
মনের প্রবল আকুতি বয়সের সাথে মিলিয়ে গিয়েছে বহুদূরে।
প্রবীণ কোন নদীতে নিত্য জোয়ার ভাটা যেভাবে বিলীন হয়,কিছু না কিছু পলিমাটির ছোয়া দুপাড় ঘেঁষে,
মায়াকারা চাদর প্রলেপ সৃষ্টি করে অনবরত।
রূপ বদলায় না, শুধু সময়ের হাতছানি মাকড়সার মত ধ্রুমজাল সৃষ্টি করে,
এই আব্রু ভেদ করে, আমি ষাটোর্ধ এক যুবতীর প্রেমে পড়েছি।
শান বাঁধানো পুকুর ঘাটের তৃতীয় সিঁড়ির খোলাচুলের সেই সূর্য ডোবার দৃশ্যরত কোমল চোখ,
বেলকুনিতে আজ রঙধনুর সাত রঙের যে কোন একটা খোঁজার বৃথা চেষ্টা, পরিণত ভঙ্গিতে।
দৃশ্যপট পাল্টে সবুজ কে যেন সাদা-কালোয় মিলিয়ে বসে আছে,
তবুও এ কুঁচকানো  চোখে স্পষ্ট পৃথিবী, শুধু তুমি আমার।
সহজ স্বীকারোক্তি মনের নাকবারান্দায়,
হ্যাঁ, আমি ষাটোর্ধ এক যুবতীর প্রেমে পড়েছি......
শুধু পঁয়তাল্লিশ বছর পরবর্তী ক্ষণকালের দৃশ্যপটে আটকে আছে ষাটোর্ধ এক যুবতী!




হিরাঝিল,চিটাগংরোড
৩-৩-২০১৪