মনের উঠোনে কুড়ায়ে এনেছি নীলপদ্ম সদৃশ বৃহন্নলার মুখ,
এ জমি, ও জমি তছনছ করে ফিরিয়ে এনেছি শবাহারী দ্বিলতা।
বাষ্পমেঘ জমিয়েছি তোমার ঝর্ণা হবে বলে,গীরিবর্ত্মের ফানুস হয়ে রচিত হবে সেই দ্বিলিপি।
স্তব্ধ করে অতলে জমাট বেধে রবো, শব্দবিহীন দৈববাণী আমায় নিরিখ করবে,
আমিযে ঊষাতে হারিয়ে রয়েছি।
দৈববাণী!
তাকিয়ে দেখো মহাসমুদ্রে, এই গভীরতা সেচে মুক্ত বের করা সম্ভব?
উত্তর আমার; না হয় ডুবুরি হয়ে বাঁচবো কালের স্রোতে।
অনাদিকালের ডাক পৃথক করে রেখেছে আমাদের ঘরের ছাউনি,
সাধ্য কি আছে উঠোন মারানো ভিন্নতার।
অদৃষ্টের হাতে লেখনী কলম, ডরাও কেন সখী ?
আমি এমন যে,তোমার কোমড়ের একবাহু পাদদেশে চুলের গোছা বেয়ে পৌঁছে যাবো চুড়ায়, শবাহারী দ্বিলতা তুমি।
শতবর্ষে কিছু নক্ষত্র কিংবা গ্রহের যদি প্রকাশ ঘটে মহিমায়,তুমি তেমন সহস্রবর্ষী তাঁরা।
তোমার আবির্ভাব এমন জোছনা বনে যেথায় আদিকাল থেকে অপেক্ষায় এক জোনাক পোকা,
যদি অমাবশ্যা নামে তবে এই জোনাক পোকা তোমায় কিরণ দিয়ে রাখবে অনন্তকাল।
এই শবাহারী দ্বিলতারা আমৃত্যু যে একজনেরই হয়।



নিরিবিল, নবীনগর
০৭-০৫-২০২০
( আজ বিশেষ একটা মানুষের জন্মদিন। যদিও আমার জন্য সেটা ফ্যাকাশে প্রলেপ হয়ে একেবারে লেপ্টে আছে। তাকে উৎসর্গ করতে না চাইলেও, অজান্তে তাকে ভেবেই কবিতাখানি লেখা হয়ে গেছে।তাই কবিতাখানা তোমায়-ই দিয়ে দিলাম.....)