চতুষ্পদী জন্তুটার স্বজ্ঞাজাত আত্মমগ্নতা ছড়িয়ে গেছে গোয়ালঘরের মেঝে,
জাবরকাটা, একচোখা ঘুম আর ভোরবেলার কাঁধে তোলা আক্ষেপ!


নয়তো ফেলে আসা অকৃতজ্ঞ মনোবাঞ্ছা।
তাহার কি দোষ? নিজেই বা কতটুকু আরাধ্য?
পশুতুল্য ঘাড়ে কয়টা জোয়ালের ভাগ বিভাজিত শুন্য হয়।


      এখানে মনের ভিতর মনের অপূর্ণ ক্ষয়।


স্যাঁতসেঁতে মনে কুঠুরি আঘাত হেনে কি বা হতে পারে?
পিছলে গেলে থেঁতলানো নাড়াচাড়া দেয়া শরীরী পিণ্ড, দুঃখ জমে।
এমন কাতর মনে প্রেম আটকায় না।


যেমনটা সকাল বেলার দোয়েল নিজ ভঙ্গিমায় গায়।
কেউ এটাকেই প্রেম বলে, নিজস্বতা।
সকালকে প্রেমিকা বলে? কলসির মুখ আবদ্ধতায় হাহাকার জমিয়ে পূর্ণতা কি হেথায়?
  
      ধরাধামে বাকি হিসেব পুরাতন খেরোখাতায়।


কুয়াশায় ঢেকে যাওয়া নিরপরাধ দিনটিকে আর নগ্নতায় ফিরিয়ে নেয়ারও কি মানে হয়!
আজ কেউ বসন্ত চায় না,
আসমানের সাথে কথা বলা গুড়ুম বৃষ্টি প্রেমের গায়ে চাপুক কে চায় জ্ঞাতসারে, তুমি থাকো নিল মেঘে ভেসে।


হাওয়ার চাদর ওড়াই,
নীল গগনে মৃত মেঘ দেখে ভরকে যাওয়া চোখ, গৃহপালিত হয় তাহার প্রেমে।
এই চতুষ্পদী ভালোবাসা কখনো শুন্য রিক্টার স্কেলে ধরা দেয় না।


    মাটির গভীরে সাপের পাঁচ পা।


শুধুমাত্র সংযম অব্যয়ে ফিরে আসা নিজ নীড়ে,
শুন্য টা, শূন্যতা মুছে দেয়া গোলাকার পৃথিবীর অনুরূপ।




রেডিসন, বিসিক
১৬/১০/২৩