কই গেলো পাঁচ?
আমার একটা তুমিময় সুগন্ধি ছিল,এই পাঁচ তো পাঁচ নয় আমাদের ক্ষনিক জীবনের অর্ধেক,
আমি তো তোকে অর্ধাঙ্গী করে রাখতে চেয়েছি, কিন্তু তুমি সুখি হতে চাইলে।
কি হতো! শান্তি বেছে নিলে?
কই গেলো পাঁচ?
আর বড়জোড় ত্রিশ,চল্লিশ,পঞ্চাশ কিংবা তার থেকে বেশি বাঁচবে,
কেন জীবনের গতিপথ পরিবর্তন করে নিলে,
নিয়ম ভাঙতে পারলে না ?
আমার কাছেই তো ত্রিশ পার করে দিলে।
কই গেলো তবে সে পাঁচ?
ভুলোমন করে ভেস্তে দিলে আকাঙ্ক্ষার বিচ্ছুরন, তবে কি মনকে বোঝাতে পারলে না,
মনকে অবুঝ বলে লাভ কি,নিজেই নিজের হন্তারক হয়ে দেখা দিলে।
তোমাকে তোমার গোষ্ঠীশুদ্ধ বাকিয়ে দিতে পারে কিন্তু তোমার মন!  
এখানে অত্যাবশকীয়ভাবে কারো হাত নেই, কোন সুখচিন্তায় বিভোর হয়ে গেলে।
তবে কই গেলো সে পাঁচ?
এত কিছু করে ফেলেছি এই সামান্য পাওয়ার জন্য,
দেখো প্রাপ্য যার যেটা সেটাই পায়,
আমি ব্যতিক্রম নই,তুমিও ব্যতিক্রম হবে না।
ভেবে দেখেছি প্রেরক ছিলাম,প্রাপক হতে পারিনি।
হয়তো ভেবেই নিয়েছ আমি তোমার কদর বুঝি না,
তবে তোমার কাছেই শিখে নিয়েছি এই যোগ্যতা টাকায় হয়,সম্পদে হয়।
এই প্রাপক হওয়ার সাধ্যি আমার নেই, পরিনতি তাই বেহাল,
গন্ধযুক্ত কাঁদায় লেপ্টালেপ্টি করে আছে।
কিন্তু আমার পাঁচ?
কে কার শেষটা জানে বলো?
হয়তো আজ তুমি,কাল আমিও হয়ে যেতে পারি,
না হলেও আফসোস থাকবে না।
তোমার শিউরে দামী প্রদীপ জ্বললে আমি না হয় লন্ঠন জ্বালাবো পুরনো নিয়মে,
কেউ না কেউ লন্ঠনের আলোয় জোনাকবাতি করে রাখবে আমায়।
কিন্তু এই পাঁচে যে ত্রিশ বসবাস করে সেই ত্রিপাঁশচের কি হবে?
শিকোয় তুলে রাখলাম স্বপ্নকাব্যের পাঁচটি বছর।



ফাল্গুনী হাউজিং
নিরিবিলি,নবীনগর,সাভার।