সুখ ছবিটা থালায় আছে, পেঁয়াজ বাটাটা উনুনে
কড়াই নড়ে চড়চড়িয়ে, ডালচরকার  ঘূর্ণনে;
সবজি কাটা, মলয় আটা; মিশিয়ে দিলাম বেগুনে
বাড়া খাবার, খেয়ে দিলাম;টেবিল টা যে সেগুনে।


হলদে গুড়ি মরিচ বাটা, মশলাটা তো মিক্সচারে
রুটিন করে খায় কি বাঙাল, আছে নাকি ফিক্সচারে?
হরেক রকম তেল বাহারী, মন্দা চলে পেটুকের
এই সুযোগে ব্যবসা ভালো,ছাতা মাথার ঘটকের।


ইলিশ পোলাও ডালবড়াটা সাজিয়ে রাখা বাটিতে,
আজ কাল আর বসিবে কি কেউ, হোগল পাতার পাটিতে,
নদীর জালে ধরা বোয়াল, চিংড়ি নাকি ঘাঁটিতে;
আমের চাড়া হয়েছে বড়, সিজনের ঐ আঁটিতে।


তেজপাতাটা ছিড়ে দিয়েছে, গিন্নি নিজের হাতে তে
টইটম্বুর মাছ ভাতেতে, রোস্ট খাসিও পাতে তে,
বউ টা নিয়ে জামাই বোকা যাচ্ছে কোথায় সাথে তে!
চশমা চোখের বড় বাবু ভাব নিয়ে আজ খাদে তে।


ধান জমেছে শিশির নাচে,তার ডগায়ে রোদ পাহাড়
চাষীই তবে মিলিয়ে দিয়েছে কলিমউদ্দিন সমেত আহার,
কতেক আছে বউ সেজেছে, বায়না নতুন থামেনা তাহার
এই যে দুঃখ পাতায় ডালে,ফল হয়ে গলায় ঝুলছে কাহার!


গরম গরম ভাপ টা যে আজ,নাকে লাগে মন খুশি
তাহারে যার হাতের নাচন,দেখে এসব ময়না পুষি,
এসব দেখে পেট বাবাজি রাগ করে ঢোক,গিললো ভুষি
দিন পেরিয়ে রাত এসে আজ,নাক প্যাঁচিয়ে দিলো ঘুষি।


ঘন্টা কয়েক রান্নাঘরে,কাটাকুটি বটির জোরে,মিলিয়ে হলো খিচুড়ি
ডালের জমি খাস যাবে কেন, লাগিয়ে দিলাম মুসুরি!
এই আদরে মা ডেকে কয়, বয়স হয়েছে,ডাকে তোরে শ্বাশুড়ি!
হঠাৎ করে ঘুম ভাঙে কেন, লাগে যেন সুড়সুড়ি।





নিরিবিলি,নবীনগর
৩১/০১/২০২১