তুমি যাই ভাবো, আজকাল তোমায় সুখি দেখলে ততটা সুখকর লাগে না, হিংসে হয়, নরক লাগে।
নীরব হয়ে যাই, চোখ এক অবিশ্বাসকে দেখে,গলায় ভাজ পরে হাসিতে,এই ভাজ বহুকাল আগে মরে যাওয়া ভূতের, কঙ্কাল সদৃশ।
প্রিয়তমাকে কখনো আগুনে পোড়ানো সম্ভব?
চিতা জ্বলে জ্বলুক বহুকালব্যাপী,উত্তাপে মরুপ্রহর কাপে,শিহরণ বারান্দায় শীত নিয়ে আসে গ্রীষ্মে!
এই অবিবেচক বিষপান সময়ের স্রোতে ভেসে যায় নি,গাছের মরা গুঁড়ি উঁচুনিচু জলপ্রপাতে ভাসছে, রাজহংসী সেজেগুজে মাখন খায়! এই সুরঙ্গ মনে পুষিলে ছাদ ভেঙে ধসে যাবে মাথা,প্রিয় মন।
আমি চাপা পরে গিয়ে দেখি ধ্বংসস্তুপে কেউ যে বাকির খাতায় এখনো বাকি!
তুমি নিস্তারিণী হয়ে ঘুরে বেড়াবে এই ভূখণ্ডের হাওয়ার,এই নিথর দেহ মানবে কেন?
জলকম্প দেখিও একটু একা বসে,কতটা গ্রাসী হয়ে আক্রোশপ্রসূত হয়, পিশানো বস্তার বাকিঅংশ কতকাল পরে ঘুরেফিরে মাটির উপরাংশে!
আহা তুমি! আহা তুমি!!
রাম্বল রেসলিংয়ের মত চৌকস খেলাটা নাকের ডগায় ঘুরিয়ে একটা কল্পকাহিনী লেখা হলো বরাবর তোমার নাট্যচিত্রে।
সেখানে ঔপন্যাসিক অপরাধ করেনি বলে বেঁচে গেলেও, চরিত্র মানদণ্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে হিসেব চায়, কে জিতলো!
গ্যালাক্সির গতিপথ বদলাতে বদলাতে সংঘর্ষের রূপ কি জানো? হেরে যাওয়া নয়তো জিতে যাওয়া।
মধ্যাহ্নে পৌঁছিয়ে হিসেব মিলিয়ে নিও,আমি তুমি কোন কৃষ্ণের কালযাদুতে ছিলেম;
এখন রূপালী মুদ্রায় আলোর ফোয়ারা ছোটে কিনা ছোটগল্পে।
এই সমুদ্রপৃষ্ঠ ছুয়ে ভূমির ঠিক উপরিভাগে নামহীন রাজা অপেক্ষা করেছিল তাজমহল প্রেমিকার,
তার নাকে নোলক বিঁধে যায়,এই নাক খালি থাক।
তার কানে নারিকেলের সলা ঝাপটে থাকে বলে, ঝুমকা কাঁদুক।
তার পায়ে খেজুরের কাটা চড়চড়িয়ে দৌড়ায় বলে, নুপুর হাসুক।
তার হৃদে অসংলগ্ন উপস্থিতি, বেহায়া পরিনাম।
আমি বলতে চাইনি উৎসুক আলাপন,অসংলগ্ন তাকিয়ে থাকাটা বলে,
তুমি কাঠঠোকরার থেকে ধারালো অস্ত্র।
বয়স হবে একদিন, হাটুগেড়ে সিজদাহ্ কবুলের মেরামত করবে দোয়া, আমিও চেয়ে রই সেই অবাক পানে;
ভালো আছো তো!






স্টারলিং লন্ড্রি লিমিটেড
১১/২/২০২১