প্রচণ্ড তাপদাহে কবিতার শব্দরাও অবলিলায় পুড়ে যাচ্ছে
তপ্ত মরুর খইফোটা বালির মত,
কবিতার উপমা কুকুরের মত হাঁপায় তার লম্বা জিহ্বা বের করে।
গর্ত থেকে বেড়িয়ে আসে আরামে লুকিয়ে থাকা ভূজঙ্গ,
বিহঙ্গেরা ঘন নিঃশ্বাস ফেলে ঠোঁটগুলি আলগা করে,
চাতকেরা বৃষ্টির প্রত্যাশায় আকাশের দিকে হা করে থাকে।
কারবালা ট্রাজেডির মতো পানির হাহাকার জাগে,
মাঠের হরিৎ ফসল আঙ্গুরের মতো কুঁচকে যায়
শুকনো পাতার মত মচমচ করে বাজে।
মাঠে,কলে-কারখানায় শ্রমিকের ঘাম সমস্ত শরীর বেয়ে গড়িয়ে পরে জমিনে,
ঢেকে রাখা ফ্যাকাসে ঘাসের মত  রং বদলে যায়।
তেরশ নদীর বুকে চর,
প্রমত্তা নদীগুলোর জীবন্ত সমাধি হয়ে গেছে সেই কবে,
বন-বনানী উজার করেছি সভ্য সভ্যতা গড়ার মনোরম উপকরণে নিমিত্তে।
যা কিছু হয়েছে সবই তো আশরাফুল মাখলুকাতের জন্যই!
কেন নয় বলুন?
আমরা যে সৃষ্টির সেরা।
তার জন্য পৃথিবীর আর সব ধ্বংস হলে কি আসে যায়!
আমরা তো ঠিকই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত  গাড়ি- বাড়ি এমনকি অফিসও করছি।
তোমরা পুড়ে গেলেইবা আমাদের ক্ষতি কী?
তোমাদের জন্য সুন্দর একটা সভ্যতা তৈরি করে যাচ্ছি।
তাহলে এ দায় কার?
এ প্রশ্নের উত্তর কোথায়ও পাবেনা খুঁজে।
             ****