এই স্নিগ্ধ শারদে দূর্গা উৎসবে কি দারুন মেতেছো অনন্যা,
কুমারে যেমনি করে গড়েছে প্রতিমা, ফুটিয়েছে তুলির আঁচরে,
তুমিও সেজেছো অবিকল তেমনি।
তোমারে গড়িছে ব্রহ্মা নিজে অনিন্দ্য সুন্দর করে
সে তুলনা দেবার দুঃসাহস আমার একেবারেই নাই;
অন্নপূর্ণা দেবীর আসনে যার স্থান তাকে কী তুলনা চলে?
ক্লিওপেট্রা রাণী হেলেন মোনালিসা কিম্বা বনলতা
সব যেন ম্লান,
তোমার আঁখি দুটি ঝরণার স্বচ্ছ জলের অবিরল ধারা
উন্নত নাসিকা সে তো বঙ্কিম বাঁশরী।
গোলাপী কোমল ওষ্ঠ জুগল আর্দ্র পেলবতায় রসসিক্ত-
ঠিক সদ্য প্রস্ফুটিত গোলাপের পাপড়ি,
ঘন কালো সুদীর্ঘ কেশপাশ জীবনান্দের বিদিশাকেও হারমানিয়েছে,
প্যারিসের পারফিউম জানি তোমার নিশ্বাসের সুবাসের চেয়ে বেশি নয়।
তোমার মধুর হাসিতে শুভ্র পুষ্প ঝরে পরে-
আর আমি অনিমেষ চেয়ে চেয়ে দেখি ;
সেনবাড়ির মণ্ডবে অষ্টমিতে যখন তুমি অঞ্জলি দিতে গেলে
তোমাকে একদম মেলাতে পারিনি কে দেবী?
তুমি নাকি কুমার গড়েছে যারে!
                 ***