এত কাছে এসেও তোমাকে বুঝতে পারিনি অনন্যা,
অনেক সময় পার করেও অনুভব করতে পারিনি-
আমি ভুল পথের এক জলজ্যান্ত ভুল মানুষ।
এত পথ মাড়িয়ে আমি এখন ভীষণ ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত ;
জল ভেবে তপ্ত মরুপথে মরীচিকার পানে ধেয়েছি শুধু,
তৃষ্ণার্ত মরু যাযাবরের মত।


কোন নৈবেদ্য প্রত্যাশা করিনি তোমা পানে,
তোমার লাবণ্যময় অপরূপ উজ্জ্বল শরীরের ভাঁজের  সুগন্ধ-
তাও উপলব্ধিও করতে চাইনি,
পরিষ্ফুটিত গোলাপের মত পরিপূর্ণ যৌবনের স্বাদও নয়।
শুধু চেয়েছিলাম ছুঁয়ে দিতে,
ক্ষণিক নয়নে নয়ন রেখে অনিমেষ চেয়ে দেখতে-
একটু নিখাদ ভালোবাসায় সিক্ত হতে,
এর বেশি অধিকারও বুঝি ছিলনা আমার।


আমি কবি নই ,
তোমাকে নিয়ে কোন কাব্যও হবেনা লেখা,
ছন্দে,উপমায়,অলঙ্কারে তোমাকে কেমনে উপস্থাপিবো বলো ?
সে দক্ষতা থাকলে তোমাকে উপ্যাখ্যানের জীবন্ত কিংবদন্তীর চরিত্রে স্থান করে রাখতাম,
এখানেই আমার ব্যর্থতা;
তুমি যে একালের ক্লিওপেট্রা,
রাণী হেলেন বললেও একটু কম থেকে যায় বৈকি!
শাহজাহান নই তাজমহল গড়বো,
লিওনার্দো নই মোনালিসা আঁকবো,
ভেসে আসা মেঘের মত তোমার উন্মুক্ত নির্মল সাগরপারে হয়তো নতুন সূর্যোদয় হবে তোমার আকাশে,
আর আমার যাবে অস্তপারে।
ঘন অন্ধকারে হারিয়ে যাবো, গভীর উত্তাল সমুদ্রে বক্ষে-
যেমনি করে নাবিক হারিয়ে ফেলে হাল,
তোমার মশ্রিণ চলার পথে কোন বিড়ম্বনা হতে চাইনা অনন্যা
সে বড় বেমানন, সে নির্ঘাত অন্যায় আমার।


        ***