নির্লজ্জের মত ভালোবাসার নোঙ্গর ফেলেছিলাম তোমার ঘাটে,
বৈরী আবহাওয়া তুফানে অশান্ত ঢেউগুলো আছড়ে পরছিল পাড়ে ,
দক্ষ নাবিকের মত হাল ধরতে পারিনি বলেই-
পরাজিত সৈনিকের মত বড় অসহায় নিরুপায় ;
মঙ্গলশঙ্খ ধ্বণির প্রত্যাশায় চেয়ে ছিলাম শুধু।
কষ্টক্লিষ্ট প্রাণে অপেক্ষার প্রহরগুনি,
অশান্ত স্রোতস্বিনীর বুকে কখন কাটিবে ঢেউয়ের উন্মাদনা,
আসিবে স্নিগ্ধ নিরবতা, অন্ধকার নিশিতে ফুটিবে অংশুল নক্ষত্র।
মূর্ছান্বিত ঘোর পালিয়ে আসবে জ্যোতিষ্মান উর্বশীর কিরণ,
ইথারে বাজিবে স্বর্ণবীনা ;
সহস্র বাধা মারিয়ে সুস্নিগ্ধ প্রভাত পবন আসিবে সুন্দরের মন্দিরে।


নির্ভেদ্য রহস্যের ইন্দ্রজালের অন্ধকারে ঘেরাই রহিলো,
সে নাইবা জানিলে অনন্যা,
ভালোবাসার শিহরণ নাইবা লাগিলো হৃদয়বীণায়,
তোমার কম্পমান বঙ্কিম উন্নত বক্ষদেশের স্পন্দন,
উষ্ণ নিঃশ্বাসের উঠানামা স্পষ্ট দেখেছি অলক্ষ্যে -
সে তো অনিন্দ্য সুন্দর স্বর্গের অপ্সরীসম।
তাহাতে অসুন্দরের লেপন চাইনিতো কভু-
নির্ঘাত অসম্মান সে তো বড়ই বেমানান;
নিষ্ঠুর আঘাতে আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হৃদয়ের পোস্ট মর্টেম দেখনি কভু,
আহত, পিপাসার্ত হৃদয় কখনো ভালোবাসায় সিক্ত হবেনা জানি,
এখন অনির্বাণ শিখারমত জ্বলছি অবিরত দহনে,
মিলনের অতন্দ্র নিদ্রাহীন বাসর সে তো অলীক কল্পনা ;
সেথায় প্রবেশাধিকার বড্ড নিষিদ্ধ,
রক্তলাল সঙ্কেত অপেক্ষায় থাকে -
আর আমি তা চেয়ে চেয়ে দেখি অহর্নিশি।
             ***