বৈশাখের তপ্ত রোদে তৃষ্ণার্ত বিহঙ্গের মত জলের খোঁজে বিরামহীন ছুটে চলি
মনে হয় এইতো জলধি,
কাছে গিয়ে দেখি ধূ ধূ মরুর আলেয়া;
আশাহত পরিশ্রান্ত দেহ নিয়ে নির্জিব থেমে যাই,
শুধু নিশ্বাসের উঠানামা বেড়ে যায়,
দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হতে থাকে তৃষ্ণা নিবারণের পথ।
মিথ্যে আশ্বাসে আর কত দীর্ঘ হবে এ পথ চলা?
এ প্রশ্নের উত্তর আজো মেলেনি,
আশাহত হৃদয়ে অঙ্কুরিত হয়না নতুন চারা গজাবার,
আগুনে পোড়া পশু আগুনরাঙা মেঘেও ভয় পায়।
সীমাহীন যন্ত্রনায় ক্যান্সার আক্রান্ত কুকুরের মত -
কষ্টগুলো বয়ে বেড়াই,
ভারী বোঝা যেমন করে বয়ে নিয়ে যায় রেল স্টেশনের কুলি,
ঘামে দর দর করে শরীরের লাল বসন ভিজে স্রোত গড়ায়,
খুব আয়েসে পিছু পিছু হেঁটে যায় টাইপরা ভদ্রলোক;
মজুরী গুনতে কত কার্পণ্য তার,
মেজাজি রক্তচক্ষুর আস্ফালনে অবশেষে-
ভিক্ষুকের মত হাত পেতে নিয়ে নেয় শত বছরে পুরাতন খুচরো নোট।
হয়তো এমনি করে ভাবনি কখনো,
অথবা ভাববার প্রয়োজনও মনে করনি।
যাপিত জীবনের স্বাদ কে কতটুকু আশ্বাদন করতে পেরেছে বলো-
তিক্ত কিম্বা অমৃত!
গহীন গহব্বরে প্রবেশ না করে কেউ কী অন্ধকার বুঝতে পারে,
অনলে না জ্বলে কী করে বুঝবে দগ্ধ হবার যন্ত্রনা কতটা তীব্র;
অভূক্ত বোঝে ক্ষুধার কাতরতা-
গরীবের রক্তচুষে অট্টালিকায় শীততাপনিয়ন্ত্রন কক্ষবাসী  নয়।
যেমন করে তুমিও বোঝনি বিরহের বেদনা কতটা গভীর,
সাথীহারা বিহঙ্গই শুধু বুঝে বিহঙ্গীর শুন্যতা কত যন্ত্রনার।
                    ****