সকালের স্বর্ণালী সূর্যালোকে বট তলার মোড়ে প্রথম পরিচয়ে-
সে কী মোহনীয় আকুতি তোমার!
আজো ভুলিনি নন্দিতা ।
গোধূলী বিকেলে পদ্মার পাড় বাঁধানো ব্লকে বসে
আমার বুকে মাথা রেখে বলেছিলে-
নতুন পৃথিবী গড়বে,
ভরা পূর্ণীমার জোছনায় অনিল বাবুর বাঁধানো পুকুর ঘাটের সেই স্মৃতি বুঝি ভুলে গেছ?
তুমি বলতে এই রাত যদি শেষ না হত!
খুব মনে আছে আমার এবং স্পষ্ট-
একেবারে দিবালোকের মত স্বচ্ছ,
সেবার আশ্বিণের মেলায় যখন সর্কাস দেখছিলাম পাশা পাশি বসে
দীপক কাকু বলেছিল -খুব মানিয়েছে দু'জন,
লজ্জায় মুখ ঢেকেছিলে জর্জেট ওড়নায়
ফেরার পথে বলেছিলে দীপক কাকুর কথা সত্যি যেন হয়।
তারপর- অনেকটি বসন্ত গেছে
আশ্বিনের মেলা গেছে-
ভরা পৃর্ণীমার জোছনা গেছে ,
মাঝখানে শুধু তুমি নেই।
....
হারিয়ে গেছ অজানা সাগর দ্বীপের দেশে
কোন এক বিলাসী রাজপুরীতে এখন তোমার বাস,
যেখান থেকে উদ্ধারের মত সৈন্য-
সামন্ত কিংম্বা পঙ্খিরাজ ঘোড়াও নেই আমার।
পুরাতন স্মৃতি গুলি হাতরে বেড়াই
তাতে শুকিয়ে যাওয়া ক্ষত থেকে
রক্তই ঝরে শুধু
যা দেখেনা কেউ , যা দেখাও যায়না।
সাথী হারা বিহঙ্গের মত যন্ত্রনায় কাতরাই
যে যন্ত্রনা একান্ত আমার।
একটি প্রশ্ন এখনো জাগে মনে
কতটা ভালবাসলে হতনা এমন রক্ত ক্ষরণ,
কতটা বিশ্বাস করলে হারায়ে যেতেনা তুমি....
    ***