পড়ন্ত বিকেলের সোনারোদে দেখিছি তোমারে উত্তাল পদ্মার পড়ে,
ফিরোজা রঙের শাড়িতে যেনো উড়ন্ত গাঙচিল।
মেকাপহীন তবু জ্যোতির্ময়ী স্ফুরণে অপ্সরী ললনা,
মেদহীন মসুর ডাউল রাঙা শরীর  তোমার-
সে যেনো কারুখচিত আয়না।
মৃদু বাতাসে শ্যাম্পু করা অশান্ত কুন্তল মুখায়বয়বে আছড়ে পরছিল অবিরাম;
অশান্ত নিঃশ্বাসে উন্নত বক্ষদেশের উঠানামা স্পষ্ট,
নাক,মুখ,কপোল,ঘনকালো কেস এক আলাদা পৃথিবীর ব্রহ্মা গড়িছে তোমায়।
নাকের বাম পাশের তিলতি অনুপম সৌন্দর্যের আধার,
ভরা পূর্ণীমা নিশির পূর্ণ চন্দিকাসম।
কণ্ঠদেশে সরু চেনটি উজ্জ্বল  সোনারোদে একাকার।
খুব কাছে এসে যখন বসলে মনে হলো এ কোন রমনী নয়,
যেনো মানবী দেবী;
এমনি করে আর কারো নয়, ঈশ্বর শুধু তোমাকেই গড়েছে অনন্যা।
স্পষ্ট তোমার শরীরের উষ্ণতা অনুভব করি,
শান্ত নিঃশাসে প্যারিসের পারফিউমের মত পুলক দীপ্ত হই।
তোমার কোমল আঙ্গুলে আলতো চাপ আমার হাতে আজো অনুভব করি,
তুমি বলেছিলে, চলনা হারিয়ে যাই -
যেখানে কেউ না চেনে তোমায় আমায়!
মনে আছে তোমার?
জানি মনে রাখবার একদম প্রয়োজন মনে করনি।
          ***