শ্বারদ উৎসবে শরতের শিশিরে ভেজা ঘাসে পা মাড়িয়ে সেবার কুণ্ডু বাড়ির মণ্ডবে-
তুমি আর আমি অষ্টমী উদযাপনে সবার অন্তরালে কি দারুণ আমোদে মেতেছিলাম!
মনে আছে তোমার দীপালি?
খুব সহজে ভুলে যাবার কথা তো নয় ,
আমাকে কত বার বলেছিলে অজন্তা মাসীর ঘরে চলনা!
কথাটা শুনে শুধুু তোমার মুখের দিকে চেয়েছিলাম জিজ্ঞাসু নেত্র মেলে।
তারপর একদম নিরব ছিলে তুমি!
মনের মাঝে অশান্ত ঝড় বয়েছিল আমার-
কিছু সময় একটা আলাদা গ্রহের বাসিন্দা মনে হচ্ছিল,
কণ্ঠটা কেমন যেন শুকিয়ে আসছিল,
একটা পাপবোধ মনের গহীনে কড়া নাড়ছিল।
।।
বিধবা অজন্তা মাসীর ঘরে চার বছরের ছেলেটি ছাড়া আর কেউ ছিলনা জানি,
তবু নিজেকে কেমন অপরাধী মনে হচ্ছিল বলে সাড়া দেইনি সেইদিন।
।।
জানিনা আজ কোথায় আছ, কেমন আছ
জানবার ইচ্ছা জাগেও চেষ্টা করিনা মোটেই।
হয়তো তোমার আঙ্গিনাতেই আজ প্রতিমা গড়ে দক্ষ কোন শিল্পী
ঠিক তোমারই মুখের মত করে,
সেখানে আসে হাজারো দীপালি-দীপক
শুধু অজন্তা মাসীর মণ্ডবে সেই তুমি আর আমি নেই।
এখন কেন যেন মনে হয় তোমার আবেদন না রাখাই ছিল আমার বড় ভুল
যা আমি বুঝিনি সেই দিন।
প্রতি শ্বারদ উৎসবে এ যন্ত্রনা শুধু বয়েই বেড়াই
সে তুমি বুঝবেনা দীপালি
যে যন্ত্রনা একান্ত আমার।
           ****